প্রতিবেশী আজারবাইজানের সীমান্তে সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশ দুটির মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এ ঘোষণা দিল ইরানের সেনাবাহিনী।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে এমন তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ইরানের সমালোচনা করে বক্তব্য দিলে গতকাল বৃহস্পতিবার আজারবাইজান সীমান্তে মহড়া চালানোর ঘোষণা দেয় ইরান। এতে চলমান উত্তেজনা আবারও নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইরানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কিয়োমার্স হায়দারী বলেন, যুদ্ধের প্রস্তুতির লক্ষ্যে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে খাইবার বিজয়। হিজরি সপ্তম সনের (৬২৮ খ্রিস্টাব্দে) মুহরারাম মাসে মুসলিমদের সঙ্গে ইহুদিরে খাইবার প্রান্তে সংগঠিত যুদ্ধের নামে এ মহড়ার নামকরণ করেছে ইরান।
সম্প্রতি ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছে আজারবাইজান, যা ইরানের জন্য চিন্তার কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ইসরায়েল আজারবাইজানে অস্ত্র বিক্রি করা দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম।
সীমান্তে সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণায় ইরানের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। তিনি বলেন, প্রত্যেক দেশ তাদের নিজস্ব অঞ্চলে মহড়া চালাতে পারে, এটা তাদের সার্বভৌম অধিকার। কিন্তু ইরান কেন এ সময় আমাদের সীমান্তে মহড়া চালাচ্ছে! কেন তারা আর্মেনিয়া সীমান্তে মহড়া চালাচ্ছে না!
এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, আজারবাইজান সীমান্তে মহড়া আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, ইরান ও আজারবাইজানের প্রায় ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি সীমান্ত আছে। এছাড়া ইরানে অনেক আজেরি নৃগোষ্ঠীগত জনগণ আছে, যারা দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে বসবাস করে। তারাই ইরানের সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী।
/এসএইচ
Leave a reply