অতিরিক্ত কফি হতে পারে ক্ষতির কারণ

|

ছবি: সংগৃহীত।

পানীয় হিসেবে কফির জুড়ি মেলা ভার। সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম ধোঁয়া ওঠা এক কাপ কফি। কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে কাজের ফাঁকে এক কাপ কফি। ক্লান্তি দূর করে নতুন করে শরীরকে চাঙ্গা করে তুলতে কফির মতো পানীয়র জুড়ি মেলা ভার।

তবে এই কফিরও রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিক। অতিরিক্ত কফি শরীরে করতে পারে মারাত্মক সব ক্ষতি।

আসুন জেনে নেয়া যাক কফি পানের ক্ষতিকর দিকগুলো:

কফির অপকারিতা

  • হার্টের ক্ষতি করে: গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাফেইন হৃদপিণ্ডের রক্তসরবরাহকরী ধমনীতে রক্ত চলাচল ধীর করে দেয়। বিশেষ করে যখন বেশি দরকার, যেমন: ব্যায়ামের সময়। তাছাড়া বুকধড়ফড়ানি, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা উচ্চ রক্তচাপের জন্যেও শরীরের অতিরিক্ত ক্যাফেইন দায়ী।
  • ঘুমের ব্যঘাত: চা বা কফি খেলে ঘুম কম হয়। গবেষণায় প্রমাণিত, যারা দিনে তিন কাপের বেশি কফি পান করেন তাদের ঘুম খুব কমই হয়। আর যারা কফি খান না তাদের থেকে কফি পানকারীদের ৭৯ মিনিট কম ঘুম হয়। তাই ঘুমের সমস্যা থাকলে কফিকে না বলুন।
  • চিনির সাথে আত্মীয়তা: যদিও অনেকে চিনি ছাড়া কফি পান করেন। তবে কফির সাথে কেক, বিস্কুট বা সকালের নাস্তার অনেক পদেই থাকে চিনি। সবমিলিয়ে দেখা যায়, সারা দিনে হয়তো ১১ টেবিল-চামচ চিনি খাওয়া হয়ে যাচ্ছে। তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন, তাদের চেষ্টা তখন বিফলে যাবে।
  • মেজাজের জন্য খারাপ: ক্যাফেইন শরীরের অ্যাড্রেনালিন নামক একধরনের হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। যে কারণে শরীরের টানটান উত্তেজনা বা ঘাবড়িয়ে যাওয়ার অনুভুতির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
  • সন্তান ধারণে অক্ষমতা: দৈনিক পাঁচ কাপের বেশি কফি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। যদি মা হতে চান, তবে অবশ্যই কফি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। আর গর্ভধারেণের পর কফি বাদ দিন। কারণ দৈনিক ২০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি জন্মক্রটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply