ঝিনাইদহের সদরে দরিদ্র শিশুদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে এমনই ব্যতিক্রম এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে দিতে হয় না কোনো বেতন। আনন্দের সাথে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ছুটে আসে তাদের প্রিয় স্কুলে। ১৭ বছর আগে অভিনব ব্যবস্থার এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আলমগীর-সেলিনা দম্পতি।
‘ঝিনাইদহের সবুজ পাঠাগার’ দিনভর মুখর কোমলমতি শিশুদের কোলাহলে। শিশু শিক্ষার্থীদের এই পাঠদান কেন্দ্র অবস্থিত সদর উপজেলার খাজুরা গ্রামে। প্রথম দেখায় গ্রামের অন্য পাঁচটা স্কুলের মতো মনে হলেও রয়েছে কিছু ভিন্নতা। অর্থের অভাবে যারা সন্তানকে স্কুলে পাঠান না, তাদের জন্যই প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখানে বিনামূল্যে প্রচলিত শিক্ষার বাইরে শেখানো হয় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। নিয়মিত হয় সাংস্কৃতিক চর্চাও। আর এমন একটি স্কুলে পড়ার ফলে সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পেরে খুশি অভিভাবকরাও।
২০০৪ সালে ব্যতিক্রমী এই স্কুলের যাত্রা শুরু করেন ঝিনাইদহের নোভেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক আলমগীর কবির। পাশে ছিলেন স্ত্রী সেলিনা কবিরও। আলমগীর কবির জানালেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই এমন উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির আরেক প্রতিষ্ঠাতা সেলিনা কবির জানালেন, ২০০৪ সালে স্কুলটি গড়ে তোলার পর থেকে এই শিশুদের নিয়েই দিন কাটে তার।
আলমগীরে পাঠশালা থেকে লেখাপড়া করে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী। করোনার মধ্যে কিছুটা কমলেও বর্তমানে স্কুলে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ জন।
Leave a reply