হঠাৎ করেই আলোচনার শীর্ষে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন। ইমো প্রতারণার মাধ্যমে আলোচনায় এই ইউনিয়নটি। এখানকার ইমো প্রতারক চক্রের প্রায় দুই শতাধিক সদস্য সক্রিয় ছিলেন। সম্প্রতি র্যাব ও পুলিশের হাতে ৮০ জন গ্রেফতার হলেও আরও শতাধিক সদস্য রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমন প্রতারণার জন্য বিব্রত এলাকাবাসী।
অল্প সময়ে অর্থের মালিক হওয়া ও বিলাসী জীবন যাপন করা যায় তাই নাটোরের বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের অনেকেই বেছে নিয়েছিলেন মোবাইল অ্যাপ ইমো নিয়ে প্রতারণার পথ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য, প্রতিটা গ্রামেই রয়েছে প্রতারক চক্রের সদস্য। যাদের হাতে অর্থ খুঁইয়েছেন অসংখ্য প্রবাসী। বেশ কয়েকজন প্রবাসীও জানালেন এমন কথা।
প্রতারকদের বড় একটা অংশ কিশোর ও তরুণ। রাতারাতি অর্থবিত্তের মালিক হয়ে যাওয়া নিয়ে কানাঘুষা চলে এলাকাবাসীর মধ্যেও। একের পর এক এমন প্রতারকের সন্ধান মেলায় বিব্রতও স্থানীয় লোকজন। তবে আগে তারা চিন্তাও করেননি যে এমনটা হতে পারে।
তবে জেলায় ইমো প্রতারণায় সাথে জড়িতদের তালিকা তৈরি করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। র্যাব ৫ এর অধিনায়ক জিয়াউর রহমান তালুকদার ব্যবস্থা নেয়ার নিশ্চয়তার পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হবারও পরামর্শ দিলেন।
নাটোরের লালপুর উপজেলায় বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ওই গ্রামটির অবস্থা এতই ভয়াবহ যে, গ্রামটিকে বলা যায় ইমো প্রতারকদের ‘সদর দফতর’।
আরও পড়ুন : নাটোরের যে গ্রামটি ইমো প্রতারকদের ‘সদর দফতর’
দৃশ্যমান কোনো কাজকর্ম না করলেও হ্যাকাররা গড়েছেন দৃষ্টিনন্দন বাড়িঘর। তবে কীভাবে তারা হঠাৎ এতো সম্পদ গড়লেন? এক হ্যাকারের মা জানালেন, তার ছেলে মোবাইলে কাজ করে টাকা আয় করেছে। তবে এখন আর সে এসব কাজ করে না।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানালেন, ইমোর মাধ্যমে প্রতারণা বন্ধে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। এছাড়া তিনি প্রবাসীদের এসব অ্যাপ ব্যবহারে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
Leave a reply