যেভাবে টাকা হাতিয়ে নেয় ইমো প্রতারকরা

|

এক অভিনব প্রতারণার মাধ্যম হয়ে উঠেছে মোবাইল অ্যাপ ইমো। নাটোর ছাড়াও রাজশাহীর দুই উপজেলাতেও এই প্রতারক চক্রের রয়েছে অবাধ বিচরণ। বিশেষ কৌশলে তারা প্রবাসীদের ইমো অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানালেন, তারা অপরাধী চক্রের শেকড় উন্মোচনে কাজ করছেন।

প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয় মোবাইল অ্যাপ ইমো। নাটোরের লালপুর আর রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট এ ধরনের প্রতারক চক্রের অভয়ারণ্য। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, একের পর এক অভিযানে এই চক্রের সদস্যরা কোণঠাসা। র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক জিয়াউর রহমান তালুকদার জানালেন, র‍্যাবের পাশাপাশ পুলিশও বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে এসব প্রতারণা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তাছাড়া সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রচার হওয়ায়ও এ নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: নাটোরের যে গ্রামটি ইমো প্রতারকদের ‘সদর দফতর’

কিন্তু সামাজিক নেটওয়ার্কিংয়ের যুগে এতো মাধ্যম থাকতে কেন ইমোর ব্যবহার? তাও অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। ওই র‍্যাব কর্মকর্ত জানালেন, কিছু প্রযুক্তিগত সুবিধা ছাড়াও বিভিন্ন ফিচারের কারণে এ অ্যাপটি ব্যবহার করে প্রতারণা সহজ।

শুধু নারীকণ্ঠে প্রতারণাই নয়। বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে তারা নিয়ন্ত্রণ নেয় প্রবাসীদের ইমো অ্যাকাউন্টেরও। এরপর স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের টাকা। র‍্যাব অধিনায়ক জানালেন, প্রথমে কৌশলে ওটিপি নাম্বার সংগ্রহ করে প্রতারকরা। এরপর ওই আইডিটির অ্যাকসেস নেয়ার পর ভুক্তভোগীর আত্মীয়দের কাছ থেকে তার পরিচয়ে চাওয়া হয় টাকা। আর এভাবেই লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নেয় প্রতারকরা।

আরও পড়ুন : ইমো প্রতারকদের ‘সদর দফতর’! বিব্রত এলাকাবাসীও

সম্প্রতি নাটোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ স্বপ্রণোদিত হয়ে ইমো নিয়ে প্রতারণাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply