বগুড়া ব্যুরো:
গাড়ির গ্যারেজের এক পাশে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। গ্যারেজের সামনে গাড়ি থামিয়ে ওই আড্ডার পাশে প্রস্রাব করেন গাড়িচালক খাইরুল ইসলাম সুমন। আড্ডারত যুবকদের সঙ্গে এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার কিছু সময় পর, গ্যারেজের সামনের রাস্তায় ছুরিকাঘাতে খুন হন তিনি। পুলিশ বলছে, আড্ডারত যুবকদের মধ্যে একজন ওই তুচ্ছ ঘটনার জেরে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, রংপুর জেলা পুলিশে কর্মরত পুলিশ সদস্য আবদুল খালেকের ছেলে খাইরুল ইসলাম সুমন একটি প্রাইভেট কার কিনে তা ভাড়ায় চালাতেন, থাকতেন বগুড়া শহরেই। শুক্রবার রাতে তিনি শহরের কানুছগাড়ী এলাকায় একটি গ্যারেজের সামনে গাড়ি রেখে ভেতরে প্রস্রাব করতে ঢোকেন। সুমন যেখানে প্রস্রাব করছিলেন তার পাশেই কয়েকজন যুবক আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাদের পাশে প্রস্রাব করা নিয়ে এসময় বাগবিতণ্ডা হয় সুমনের। সেখান থেকে বেরিয়ে সুমন তার গাড়ির ভেতরে বসে কয়েকজনের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। মিনিট বিশেক পর ওই যুবকরা এসে ধারালো ছুরি দিয়ে সুমনকে আঘাত করতে শুরু করলে তিনি দৌড়ে পাশের একটি ফার্মেসিতে ঢুকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। হামলাকারী যুবকরা সেখানে গিয়েও তাকে আরেক দফা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার জানান, তদন্তের এক পর্যায়ে শনিবার গভীর রাতে হামলাকারী যুবকদের একজন মো. বাবুকে কাহালু উপজেলার মুরইল থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বাবু জানায়, সুমনের সঙ্গে তাদের পূর্ব পরিচয় ছিল না। আড্ডার পাশে প্রস্রাব করা নিয়ে বাকবিতণ্ডার সময় সুমন তাদের গালাগাল করে বেরিয়ে যায়। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে কিছুক্ষণ পর তারা সুমনকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে।
Leave a reply