চলমান বৈশ্বিক সহিংসতা এবং চীন ও ইরানের গুপ্তচরবৃত্তির সাথে ফেসবুকের বিভিন্ন কাজের সম্পৃক্ততা রয়েছে। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) মার্কিন সিনেট উপ-কমিটির শুনানিতে এই তথ্য দিয়েছেন ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হগেন।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, হগেন বলেন, আমার ভয় হচ্ছে, মানুষের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করার মতো ও চরমপন্থী যেসব আচরণ দেখছি আমরা, এটা কেবল শুরু। মিয়ানমার ও ইথিওপিয়ার ঘটনাগুলো এমন এক ভয়ঙ্কর গল্পের শুরু যে, কেউ এর শেষটা জানতে চাইবে না।
বিশ্বের স্বৈরাচারী বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত নেতারা ফেসবুককে তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেন কিনা , এক মার্কিন সিনেটরের এমন প্রশ্নের জবাবে ফেসবুকের সাবেক এই প্রোডাক্ট ম্যানেজার বলেন, সন্ত্রাসীরা অবশ্যই ফেসবুককে ব্যবহার করে এবং ফেসবুক কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে ভালো মতোই জানে।
শেষবার ফেসবুকের ‘কাউন্টারএসপিওনেজ বা গুপ্তচরবৃত্তি-বিরোধী’ টিমের সঙ্গে কাজ করেছেন হাউগেন। তার ভাষায়, এই প্ল্যাটফর্মটিতে চীনাদের অংশগ্রহণ, বিশেষ করে, উইঘুর সম্প্রদায় ইস্যুতে নজর রেখেছে তার টিম। গত মার্চে ফেসবুক জানায়, চীনা হ্যাকাররা ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে দেশের বাইরে বসবাসরত উইঘুর কর্মী ও সাংবাদিকদের টার্গেট করে।
দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার বক্তব্যে, সংস্থাটির নীতি নির্ধারকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, ক্ষতিকারক দিকগুলো জানা সত্ত্বেও ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামকে নিরাপদ করার কোনো উদ্যোগ নেই। মার্কিন আইনপ্রণেতাদের এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
Leave a reply