এই সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করেছে ডিএসইতে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রাধান সূচক বেড়েছে প্রায় ১৪ পয়েন্টের মতো।এছাড়াও বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। যদিও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। অপরদিকে সিএসইতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ মূল্যসূচক ১৪ পয়েন্টের মত বেড়ে দাড়িয়েছে, ৭ হাজার ৩শ ৪২ পয়েন্ট। এদিকে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্টের মত এবং ডিএসই ৩০ সূচক বেড়েছে প্রায় ৫৭ পয়েন্ট।
মোট লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। হাতবদল হয় ১২ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
তালিকাভুক্ত ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৩টির, কমেছে ২৭২টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর। লেনদেন হয়নি ৪টি প্রতিষ্ঠানের।
ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এই সপ্তাহেও লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ লাফার্জ হোলসিম। হাতবদল হয়েছে মোট ৯শ ৩০ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার। ৭০১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল করে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওরিয়ন ফার্মা। আর তৃতীয় স্থানে এসেছে বেক্সিমকো।
প্রায় ৩১ ভাগ বেড়ে দরবৃদ্ধির তালিকায় গত সপ্তাহে শীর্ষে ছিল অ্যাডভেন্ট ফার্মা। এরপর আছে জিপিএইচ ইস্পাত। প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ২১ শতাংশের বেশি। আর তৃতীয় স্থানে আছে সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস।
অন্যদিকে প্রায় ২৪ ভাগ কমে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে ছিল আইসিবি ইসলামি ব্যাংক। এর পরের অবস্থানে যথাক্রমে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স এবং সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জ, সিএসইতে মূল সূচক সিএএসপিআই শূন্য দশমিক তিন শূন্য শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৪শ ৪১ পয়েন্টে। অন্যদিকে কিছুটা বেড়েছে সিএসইএক্সে এবং সিএসই থার্টি সূচক। সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫শ ৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার।
লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪ টির। কমেছে ২৪৭টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬টি কোম্পানির শেয়ারের দর। সিএসইতেও গত সপ্তাহে লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল লাফার্জ হোলসিম। প্রতিষ্ঠানটির মোট ৩৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। প্রায় ৩১ কোটি টাকা বেশি লেনদেন নিয়ে পরের অবস্থানে ছিলো লিন্ডা বাংলাদেশ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ওরিয়ন ফার্মা।
দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে ছিল মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটিক। দাম বেড়েছে প্রায় ৩২ ভাগ। এরপর যথাক্রমে আছে জিপিএইচ ইস্পাত এবং এ্যাডভেন্ট ফার্মা।
অন্যদিকে সাড়ে সাইত্রিশ ভাগ কমে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে আছে অ্যাপেক্স ওয়েভিং। এর পরের অবস্থানে যথাক্রমে ন্যাশনাল হাউজিং এবং ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স।
Leave a reply