সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে কোটিপতি হলেন থাইল্যান্ডের এক জেলে। জেলে নারং ফেটচারাজ মাছ ধরতে গিয়ে পেয়েছেন ১১ কোটি মূল্যের ‘সামুদ্রিক স্বর্ণ’।
ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সব সময়ের মতই সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন নারং। সমুদ্র থেকে ফেরার সময় সুরাট থানি প্রভিন্সের নিয়োম সৈকতে একটি পাথরের মতো বস্তু পান তিনি। পাথর সদৃশ ওই বস্তু সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলেও সন্দেহ হয় তার। কাছে গিয়ে তিনি ওই বস্তুতে মোমের মতো উপাদান দেখতে পান। তিনি বুঝতে পারেন ওটা তিমির বমি হতে পারে।
এরপর আর কোনো চিন্তা না করে ওই বস্তুটি প্রিন্স অফ সোংক্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যান নারং। তার আশা ছিল, যদি কিছু টাকা-পয়সা পাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষার পর জানা যায়, নারংয়ের খুঁজে পাওয়া পাথরের দাম ১১ কোটি টাকা। নারং মূলত খুঁজে পেয়েছেন তিমির বমি। এই বস্তুটির মূল্য প্রায় এক মিলিয়ন পাউন্ড।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওই বস্তুর নাম অ্যামবারগ্রিস। এটি মূলত স্পার্ম জাতীয় তিমির বমি যা জমে শক্ত হয়ে যায় এবং সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়। নারংয়ের পাওয়া অ্যামবারগ্রিসের ওজন ৩০ কেজি। সর্বশেষ যে অ্যামবারগ্রিস পাওয়া গিয়েছিল তার দর অনুযায়ী নারংয়ের অ্যামবারগ্রিসের মূল্য ১১ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, তিমির বমির শক্ত হয়ে যাওয়া এই রূপকে বলা হয় ‘ সামুদ্রিক স্বর্ণ’। প্রকৃত স্বর্ণের থেকে সামুদ্রিক এই স্বর্ণের দাম অনেক বেশি।
Leave a reply