ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে থানায় আটকে রেখে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ

|

ওসি প্রদীপ (বামে), বাদীপক্ষের আইনজীবী (ডানে)

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রমের নির্ধারিত পঞ্চম দফায় প্রথম দিনে আরও ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

রোববার (১০ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহন শেষ হয়।

আদালতে বিচারিক কার্যক্রম শুরুতে মামলার ২০ তম সাক্ষী বেবি বেগমের অসমাপ্ত জেরার মধ্যদিয়ে শুরু হয় এবং পর্যাক্রমে আরও ৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এ নিয়ে ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করেছেন আদালত।

এ সময় বেবি বেগম আদালতকে বলেন, ওসি প্রদীপ ও তার বাহিনী ২০২০ সালে আমার মেয়েকে অস্ত্র ঠেকিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন থানার দ্বিতীয়তলায় আটকে রেখে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে ওসি প্রদীপ। পরে জামিনে বেরিয়ে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় আমার মেয়ে।

আদালতে বেবী বেগম আরও বলেন, বর্তমানে তিনি মেয়েকে কোথাও বিয়ে দিতে পারছেন না।  এসময় আদালত বেবী বেগমকে পানি খেতে বললে তিনি ওসি প্রদীপসহ আসামীদের দেখিয়ে বলেন, ওদের দেখলে ঘৃণা হয় পানি খেতে পর্যন্ত ইচ্ছে করে না।  

প্রশাসন ওসি প্রদীপের পক্ষে থাকায় মামলা করার সাহস পাননি দাবি করে বেবি বেগম বলেন, মেজর সিনহা হত্যা মামলার পর তিনি সাহস পেয়ে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছেন। 

সিনহা হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply