চলছে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা। এই সময়টাতে মাছ ধরতে না পারায় জেলেদের সময় অতিবাহিত হয় চরম দুঃখ ও দুর্দশার মধ্য দিয়ে। তাই সরকার থেকে নিষেধাজ্ঞার দিনগুলোতে ২০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও পুনর্বাসনের আওতায় আসেনি ভোলার জেলেরা। তবে দুয়েকটি জায়গায় চাল দেয়ার খবর পাওয়া গেলেও অধিকাংশ এলাকার জেলেদের হাতে চাল পৌঁছায়নি এখনও। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়িছাড়া অনেকে। তবে জেলা প্রশাসক বলছেন, নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই চাল সব উপজেলায় চলে গেছে। দ্রুতই শুরু হবে বিতরণ কার্যক্রম।
৪ অক্টোবর থেকে চলছে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। নদী-আড়তে নেই চিরচেনা হাঁকডাঁক। অনেকে জাল মেরামতে ব্যস্ত। তবে বেশিরভাগ জেলেরই কাটছে অলস সময়। মাছ ধরা বন্ধের সময়টাতে পুনর্বাসনের আওতায় আসেন জেলেরা। বিতরণ করা হয় ২০ কেজি করে চাল। তবে, এর আওতায় এখনও না আসার দাবি করেছেন ভোলার জেলেরা। দুর্দিন জেলেপল্লিতে। পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কাটছে দিন। আর মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে এনজিওর কিস্তি ও মহাজনের ঋণ। আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অনেকে। জেলেদের ভাষ্য, এবার ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি।
তবে ভোলা জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানালেন, নিষেধাজ্ঞার শুরুতেই পুনর্বাসনের চাল প্রতিটি উপজেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অচিরেই চালগুলো বিতরণ শুরু হবে। আর এসময়টাতে কিস্তি না নিতে এনজিওগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানালেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভোলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৪৬ হাজার।
Leave a reply