সীমিত আয়ের মানুষের জন্য অস্বস্তির জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে কাঁচাবাজার। দাম বৃদ্ধির দৌঁড়ে আছে প্রায় সব পণ্য। ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজের দর আগে থেকেই চড়া। এর সাথে চলতি সপ্তাহে আদা-রসুন আর সবজির দামের ঊর্ধ্বগতিতে নাকাল ক্রেতারা। মাছের বাজারেও নেই স্বস্তি। মুরগির মাংসের দাম বেড়েছে আরও এক দফা।
সীমিত আয়ের মানুষের সিংহভাগ আয় চলে যাচ্ছে খাদ্যপণ্যের খরচ মেটাতে। একযোগে বেড়েছে সব পণ্যের দাম। অস্থিরতা বাড়ছে মাছের দোকানে। সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে একশ থেকে সর্বোচ্চ দুইশ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিক্রেতাদের দাবি, ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় তার প্রভাব পড়ছে মাছের বাজারে। অন্যদিকে পূজার ছুটি থাকায় ভারত থেকে আসছে না মাছ।
কমেনি পেঁয়াজের দামও। ভারতীয় জাতের সরবরাহ না থাকায় প্রতি দিনই বাড়ছে দেশি জাতের পেঁয়াজের দাম। এক কেজি দেশি পেঁয়াজের জন্য গুনতে হবে ৮০ টাকা। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এক কেজি আদার জন্য দিতে হবে ১২০ টাকা।
ভোজ্যতেল আর চিনির বাজারের দশাও একই। পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই চিনির। খোলা চিনি ৮০ আর প্যকেটজাত এক কেজি চিনির জন্য দিতে হবে ৮৫ টাকা। এক লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৫৮ টাকায়।
বাজারে কমেছে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবাহ। বিপরীতে আগাম শীতকালীন সবজির দেখা মিলছে কম। কাঁচামরিচের দাম খানিকটা কমলেও এক কেজির জন্য গুনতে হচ্ছে ১৬০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, চলতি সপ্তাহে বেশিরভাগ সবজির দামই কেজিতে অন্তত ১০ টাকা করে বেড়েছে।
তিন দিনের ব্যবধানে, ব্রয়লার আর লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৯০ আর লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়।
Leave a reply