এ পর্যন্ত জাপানের ফুকুশিমাসহ দুটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের ফলে এসব কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়লে দীর্ঘদিন তার প্রভাব থাকে বলে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আতঙ্ক আছে অনেকেরই। তবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে দাবি করছে সরকার। দায়িত্বশীলরা বলছেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রিঅ্যাক্টর ব্যবহার করায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে বিস্ফোরণের আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
সম্প্রতি রূপপুরের প্রথম ইউনিটে স্থাপিত হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হৃৎপিন্ড বা পরমাণু চুল্লি। তবে বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ দেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র কতটা নিরাপদ সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। যদিও ফুকুশিমার পর দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছে সব পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রেই। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলছেন, রূপপুরে ব্যবহৃত হচ্ছে থার্ড জেনারেশন প্লাস ভিভিইআর ১২০০ মডেলের রিঅ্যাক্টর, যা অনেক বেশি নিরাপদ।
রিকটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প বা বিশেষ কোনো দুর্ঘটনা হলেও তা কেন্দ্রের ৩০০ মিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। আশেপাশের এলাকায় ক্ষতির শঙ্কা নেই। কেন্দ্রটিতে সর্বাধুনিক কোর ক্যাচার স্থাপন করা হচ্ছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। অধ্যাপক শফিকুল জানাচ্ছেন, এর ফলে বিস্ফোরণ হলেও তা মাটির নিচেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে নিরাপত্তা ইস্যু সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার নীতিমালা মেনে ও তাদের তদারকিতেই এটি তৈরি হচ্ছে। তাই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
এতকিছুর পরও প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জ্বালানি পরিবহনে সতর্কতার তাগিদ বিশ্লেষকদের।
Leave a reply