রাজধানীতে জনভোগান্তির দায় কার?

|

কাউন্সিলরদের সদিচ্ছার অভাবেই নতুন ওয়ার্ডগুলোতে জলাবদ্ধতার মত ছোটখাট সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তারা বড় বাজেটের দিকে চেয়ে থাকেন। অথচ নানা সময়ে দেয়া টোটকা বরাদ্দের টাকাতেই অনেক উন্নয়ন সম্ভব। এমনটা দাবি করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। তবে কাউন্সিলররা বলছেন, বাজেট না পেলে ভাঙা সড়ক আর জলে ডুবেই চলতে হবে নাগরিকদের।

চার বছর আগে রাজধানীর সবশেষ ওয়ার্ড বেরাইদ যখন সিটি করপোরেশনে যুক্ত হয় তখন এলাকাবাসী ভেবেছে উন্নয়ন হবে। শেষ হবে ভোগান্তির। বালু নদীর জল ঘেঁষা এই ৪২ নম্বর ওয়ার্ডকে মানুষ ডাকে মসজিদের গ্রাম নামে। তবে মেঘ ছোঁয়া ভবনের ভিড়ে এমন মাথা উচু করে থাকা প্রার্থনালয় আর সবুজ সৌন্দর্য্য ফিকে হচ্ছে দিন দিন। বেরাইদে সিটির তকমা লাগার পর শুধু জমির দামই বেড়েছে, বাড়েনি নাগরিক সুবিধা।

বেরাইদ শুধু নয় আধুনিক ঢাকার একেবারে কোল ঘেঁষে ৪০ নম্বর ওয়ার্ড ছোলমাইদও যেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার। চলাচলের সড়কে জলাবদ্ধতা, পানি পার হওয়ার ভোগান্তি শেষ হয়নি নগরবাসীর। স্যুয়ারেজ লাইনের এই ময়লা পানি অনেকের বিয়েতেও নাকি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ভোগে এলাকা ছেড়েছেন ভাড়াটিয়ারা। আত্মীয়স্বজনরাও বেড়াতে আসে না এই এলাকায়।

পুরো ওয়ার্ডে এমন কোনো সড়ক নেই যাকে ভালো বলা যায়। এমন দুর্ভোগ লাঘবে যার দিকে চেয়ে জনগণ কী করছেন তিনি? ডিএনসিসির ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ঢালী জানান, বাজেট না আসলে তার কিছুই করার নেই।

অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, কাউন্সিলরদের কাছে টাকা আছে। টোটকা হিসেবে তারা চাইলে জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা করতে পারে। পানি অপসারণের জন্য বড় কোনো পরিকল্পনার দরকার হয় না বলেও জানালেন তিনি।

নতুন ১৮টি ওয়ার্ড উন্নয়নে গত বছর ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়েছে একনেকে। তবে নানা জটিলতায় সেখানেও অর্থ ছাড়ে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply