সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে এখন থেকে মাঠ প্রশাসনের সাথে থাকবে আওয়ামী লীগও। সহিংসতায় দলের কোনো নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর শুরু করেবে। সাম্প্রতিক ঘটনার পর এমন কঠোর অবস্থানে ক্ষমতাসীন দল।
ঘটনার শুরু কুমিল্লা থেকে। সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টায় একটি গোষ্ঠী। কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী এবং রংপুর। প্রত্যোকটি সহিংসতার ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে কঠোর অবস্থানে সরকার।
কুমিল্লার ঘটনায় এরইমধ্যে এক অভিযুক্ত ইকবাল গ্রেফতার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় এক কলেজ শিক্ষকসহ ২৪ জনকে আনা হয়েছে আইনের আওতায়। হামলা, সহিংসতার ঘটনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার জনকে আসামি করে ১০২টি মামলা হয়েছে। আটক প্রায় ছয়শো।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে, সরকারের মন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিরা আক্রান্তদের পাশে। সর্বোচ্চ সহায়তা করা হয়েছে সরকারের পক্ষে থেকে। রংপুরের পীরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত ৬১টি পরিবারের প্রতিটিকে দেয়া হয় ১০ হাজার টাকা করে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নতুন ১০০ বান্ডিল টিন সহ ঘর তৈরিতে প্রদান করা হয় সাড়ে চার লাখ টাকা। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে দেয়া হয় নগদ ১০ লাখ টাকা।
সাংগঠকনিভাবেও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিটি উপজেলায় শান্তি সমাবেশ করার।সহযোগী সংগঠনের যেসব কর্মী উস্কানী দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানালেন, সংগঠনের কেউ জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের নানামুখী কর্মসূচির পাশাপাশি নিরাপত্তায়ও নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে ৩৭টি জেলায়।
Leave a reply