ড্রেসকোডে বড় চুল রাখতে মানা। সেজন্য স্কুল ডিসট্রিক্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলাই ঠুকে দিল সেখানকার সাত শিক্ষার্থী।
বিবিসির একটি সংবাদসূত্র বলছে, বড় চুল রেখে ড্রেসকোড ভঙ্গের দায়ে ৯ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রকে এক মাসের জন্য সাজা দিয়েছে ম্যাগনোলিয়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্ট। সহশিক্ষা কার্যক্রমে ও বাকিদের সাথে মেলামেশায় তো বটেই, নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে লাঞ্চ বিরতিতে যাবার ব্যাপারেও।
সাজা পেয়েছে ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী আরও ছয় শিক্ষার্থী। এই তথাকথিত ড্রেসকোড সংবিধানবিরোধী, কেননা সংবিধান শুধু ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসীই নয়, বরং লৈঙ্গিক অসমতাকেও বরদাশত করে না।
উল্লেখ্য, এখানকার ড্রেসকোড মোতাবেক চুলে কান ঢেকে যাওয়া, কানের লতির থেকেও বেড়ে যাওয়া অথবা শার্টের কলার স্পর্শ করতে পারবে না কোনো ছেলেরই। গত গ্রীষ্মে এ নিয়ে ওঠা এক বিতর্কে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, এই ড্রেসকোড মূলত আমাদের কমিউনিটির মূল্যবোধকেই মোটাদাগে প্রতিফলিত করে।
নয় বছর বয়সী সে ছেলেটি পারিবারিক ঐতিহ্য মেনে বাবা-চাচার দেখাদেখি বড় চুল রেখেছিল। শাস্তি পাওয়া আরেক ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী লৈঙ্গিকভাবে একজন ‘নন-বাইনারি’। সে তার লৈঙ্গিক প্রকাশের অংশ হিসেবেই বড় চুল রাখে।
এর আগে শিক্ষার্থীদের একজন অভিভাবক আগস্টে বসা একটি শিক্ষক-অভিভাবক মিটিং-এ স্কুল ডিস্ট্রিক্টকে প্রশ্ন ছোঁড়েন, একজন ছেলে কী পরবে না পরবে, সেটা ঠিক করে দেয়ার আপনারা কে?
এদিকে বৃহস্পতিবার স্কুল ডিস্ট্রিক্ট জানিয়েছে, তারা এই ড্রেসকোড পুনর্বিবেচনার ব্যাপারে ভাবছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক ইমেইল বার্তায় স্কুল ডিস্ট্রিক্টের এক মুখপাত্র ড্যানিয়েল মেয়ার্স বলেছেন, তারা প্রত্যেক নাগরিকের পরিবর্তনের জন্য দাবির যে সংবিধানসিদ্ধ অধিকার, সেটিকে সম্মান করেন।
উত্তরপশ্চিম হিউস্টনের ৬৪ কিলোমিটার এলাকার প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন এই স্কুল ডিস্ট্রিক্টে। এদের কেউই এই ঘটনায় মুখ খোলেননি বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
Leave a reply