প্রেমের পড়ার চেয়ে সুখের অনুভূতি খুব কমই হয়। কিন্তু সেই প্রেমই যখন পরিণতি পায় না, তখন তার চেয়ে কষ্টের কিছু হয়না। একতরফা প্রেমের রেশে অনেকে অবসাদে পর্যন্ত চলে যান। সেই প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসা খুবই কঠিন। আবার একই সঙ্গে তা ভীষণ জরুরিও। কারণ, এতে দুঃখই বাড়ে। পাশাপাশি কাজে মন বসাতে সমস্যা হয়। ধৈর্য কমে। মানসিক শান্তিও বিঘ্নিত হয়। কীভাবে বেরিয়ে আসা যাবে এই জটিলতা থেকে তা নিয়ে অনেকেই বিব্রত থাকেন।
যা করবেন একতরফা প্রেমে পড়লে:
১) দূরত্ব এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী ও কার্যকরী পন্থা। যে মানুষটির প্রতি দুর্বলতা সে চোখের সামনে যত ঘন ঘন আসবে, ততই মনে পড়ে যাবে পুরনো স্মৃতি। ফলে, তাকে না পাওয়ার কষ্ট। তাই একটি নিরাপদ দূরত্ব সব সময়ই সাহায্য করে।
২) সময়ের উপর ছেড়ে দিন। সময় অনেক কিছুরই স্বতঃস্ফূর্ত সমাধান। একতরফা প্রেম থেকে যে ক্ষত সৃষ্টি হয় তাতে সব চেয়ে ভাল প্রলেপ দিতে পারে সময়। প্রাথমিক ভাবে বিশ্বাস করতে অসুবিধা হলেও, জানবেন জীবনে কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। নিজেকে পর্যাপ্ত সময় দিলে দেখবেন এক দিন ঠিক অতিক্রান্ত করেছেন এই কঠিন সময়, আবার সহজ হতে পারছেন সেই মানুষটির সঙ্গে, কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই। কারণ তত দিনে যে ফিকে হয়ে এসেছে অনুভূতির তীব্রতা।
৩) নিজের উপর বিশ্বাস এই সময়ে খুব সহজে নড়ে যায়। অনেকে ভাবতে শুরু করেন যে একটি প্রেম পরিণতি পায়নি মানে কোনো প্রেমেই আর তা আসবে না। এমন কি নিজের ক্ষমতা, সাধ্যকেও প্রশ্ন করতে শুরু করেন অনেকে। কিন্তু একটি প্রেমে পরিণতি আসেনি মানে কোনো প্রেমেই আসবে না এমন নয়। নিজের উপর বিশ্বাস বা আস্থা হারাবেন না।
৪) প্রেমের মানুষটির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করলেও অনুভূতি তো একদিনে যায় না। যায় না তার সঙ্গে কোনো না কোনো উপায়ে জুড়ে থাকার আকাঙ্ক্ষাও। তাই অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরেও বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে তার খোঁজ-খবর নেয়ার চেষ্টা করেন। মনে রাখবেন এতে কিন্তু আপনারই বোঝা বাড়বে। যত দিন পর্যন্ত সেই মানুষটির উল্লেখ আপনাকে পীড়া দিচ্ছে ততদিন কোনো রকম খোঁজ-খবর নেয়ার ইচ্ছে হলেও সে দিকে এগোবেন না।
৫) পুরনো চ্যাট বা বার্তা বারবার পড়বেন না। এতেও সমস্যা বাড়ে।
৬) নিজেকে সময় দিন। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের সঙ্গে বেশি সময় কাটান। ভালবাসার সংজ্ঞা কেবল একটি প্রেমের সম্পর্কের উপরেই নির্ভর করে না। বন্ধু-বান্ধব, পরিবার বা নিকটজনদের ভালবাসাকেও সমান কদর করুন, মূল্য দিন। দেখবেন, একটি প্রত্যাখ্যান আপনাকে আর আগের মতো বিব্রত করবে না।
৭) একাই বেড়াতে চলে যান। ভ্রমণ মানুষকে একটি প্রয়োজনীয় নিভৃতি দেয় যা অনেক কিছু উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। ফিরে এসে দেখবেন আপনি অনেকাংশে বোঝামুক্ত।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
Leave a reply