চারদিকে বিতর্কের ঝড়। ছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচের একাদশে। বোর্ড প্রতীক্ষায় ছিল তার সদুত্তরের। অপেক্ষায় ছিল গোটা বিশ্ব।
অবশেষে তুমুল সমালোচনার মুখে মাফ চেয়েই বোধ হয় এ যাত্রায় রেহাই পেতে চলেছেন কুইন্টন ডি কক। শুধু মাফ চেয়েই ক্ষান্ত দেননি, রাজি হয়েছেন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে হাঁটু মুড়ে বসতে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সাথে বৈঠক হয় ডি ককের। তারপরেই নিজের অবস্থান থেকে সরেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি যা করেছি তার জন্য ক্ষমা চাইছি। যদি আমি হাঁটু মুড়ে প্রতিবাদ জানালে তার মাধ্যমে অন্যদের সামান্য শিক্ষাও দেয়া যায় তা হলে আমি সেটাই করব।
এই সময়ে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য সতীর্থদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রোটিয়া ওপেনার। তিনি বলেন, সতীর্থরা যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ। অধিনায়ককে আলাদা করে ধন্যবাদ জানাই। দেশের হয়ে খেলা আমার কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে বিতর্কের সূত্রপাত হয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী ম্যাচে। সেদিন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদে হাঁটু মুড়তে রাজি হননি দক্ষিণ আফ্রিকার এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। তিনি একে তখন ‘ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত’ বলে পাশ কাটিয়ে যান।
তার এই রকম প্রতিক্রিয়ায় হতাশ হন দেশটির বোর্ড থেকে শুরু করে সাবেক, বর্তমান অনেক ক্রিকেটার। এরপর আচমকাই পরের ম্যাচের একাদশ থেকে নিজেকে ‘প্রত্যাহার’ করে নেন ডি কক। যাতে প্রকাশ্যে বিস্ময় প্রকাশ করেন অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা।
Leave a reply