কাল সুপার টুয়েলভে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আর এই ম্যাচের আগে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর ঘোষণা শেষ দুই ম্যাচ জিতে নতুন ইতিহাস গড়তে চায় টাইগাররা। সাকিব না থাকায় বিশ্বমঞ্চে অভিষেক হতে পারে শামীম পাটোয়ারীর। আবু ধাবীতে ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৪টায়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেন এখন মরুর বুকে পানি খোঁজে অসহায় এক কাফেলা! মুক্তি পাবার পথের হদিশ আরও কঠিন হয়েছে সাকিবের বিদায়ে। সব কিছুই বিপক্ষে। তাই তো প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জটা বড় হয়ে আসছে না দলের সামনে।
বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, ইতিহাস বলছে টি-টোয়েন্টির মূল মঞ্চে ১টার বেশি ম্যাচ জিততে পারিনি। আমাদের সামনে সুযোগ এখন নতুন ইতিহাস লেখার। জানি, সেমির স্বপ্ন আর নেই আমাদের। কিন্তু তারপরও শেষ ম্যাচগুলোতে সামর্থের শতভাগ দিতে চাই আমরা।
প্রোটিয়ারা ঠিকই অনুশীলন করেছে ম্যাচ ভেন্যু আবুধাবিতে। অথচ খটকা লাগে যখন জানা যায়, দুই দিন বিশ্রাম নিয়ে মাহমুদউল্লাহরা অনুশীলন করছেন দুবাইতে আইসিসি একাডেমিতে। এর সাথে আরও একটা প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। আইপিএল খেলে সাকিব- মোস্তাফিজ দুজনই কি বাড়তি ক্লান্ত?
এ ব্যাপারে রাসেল ডমিঙ্গো বললেন, বায়োবাবলে থাকাটা খুব কঠিন। আমি নিজেও অনুভব করছি। ওরা দীর্ঘদিন ধরেই বন্দি। তবে ক্লান্ত কিনা তার কোনো উত্তর দিতে চাই না। আর কাউকে এককভাবে দায় দিতে রাজি নই আমি। জানি যে, দলের সমালোচনা হচ্ছে সর্বত্র। র্যাঙ্কিংয়ের ১১ থেকে ৬-এ আসা সহজ ছিল না। আমাদের উচিত সামনের বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা করা।
তবে সেই পরিকল্পনায় ডোমিঙ্গো থাকবেন কিনা সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই বিশ্বকাপ পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছে, ঘরের মাঠ আর আন্তর্জাতিক সার্কিটের পার্থক্য কতো বিশাল। তবে কে না জানে, একটা জয় হয়তো পানি ঢেলে দেবে আগুনে!
তার আগে ভাবতে হবে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে আগামী ম্যাচ নিয়ে। এর আগে এই ফরম্যাটে ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে দু’দেশ; যেখানে ছ’বারই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সাইফুদ্দিনের পর সোহান ও সাকিব ইনজুরিতে পড়ায় একাদশ গড়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের জন্য। ১৩ জন ক্রিকেটার থেকে একাদশ গড়তে হবে বাংলাদেশকে। সাকিব না থাকায় সৌম্য ও আফিফকে ব্যাটিং অর্ডারে এগিয়ে আনা হতে পারে। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে তাবরাইজ শামসি ও ডেভিড মিলারের হালকা ইনজুরি রয়েছে। সেমির দৌড়ে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই দক্ষিণ আফ্রিকার; অন্যদিকে ২০০৭ সালের পর কোনো বড় দলকে হারানোর আরেকটি সুযোগ বাংলাদেশের সামনে।
Leave a reply