এবার আর ডিসপ্লে মোছার কাপড় নয়, অ্যাপল আলোচিত হলো সত্যিকারের ‘কাজের’ একটি ফিচার দিয়েই। যদিও সেই ফিচার কতটা ‘এক্সক্লুসিভ’, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এমনও গুঞ্জন উঠেছে, গুগলের পিক্সেল ফোনের দেখাদেখিই নতুন একটি ফিচার আনতে যাচ্ছে অ্যাপল।
প্রকৃতপক্ষে অ্যাপল চাইছে আইফোন ও অ্যাপল ওয়াচের এমন মডেল নিয়ে আসতে, যাতে থাকবে কার ক্রাশ ডিটেকশন। অর্থাৎ গাড়ি দুর্ঘটনার মতো কোনো অবস্থায় থাকলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জরুরী সেবা হেল্পলাইন ৯১১-এ ডায়াল করবে। সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এই পরিকল্পনার কথা।
এদিকে গুগলের পিক্সার ফোনে আরও আগেই এরকম একটি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ফিচার রয়েছে, যা বাজারেও বেশ সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছিল। নকলের অভিযোগটা মূলত এখান থেকেই এসেছে।
এছাড়াও বেশ কিছু কার সার্ভিসেও আছে এ ধরনের ফিচার। কিন্তু কার সার্ভিস বহির্ভূত গাড়িগুলোতে সে সুবিধা নেই। আলাদাভাবে নিতে চাইলেও গুনতে হয় সাবস্ক্রিপশন ফি। তার বদলে আইফোন বা অ্যাপল ওয়াচে এ সুবিধা চালু হলে আরও বেশি সংখ্যক চালক বা যাত্রী এই নিরাপত্তা সুবিধাটুকু পেতে পারবেন অতিরিক্ত অর্থমূল্য প্রদান ছাড়াই।
প্রকৃতপক্ষে হোমকিটের সাথে ঘরের স্মার্ট এসি, লাইট বা স্পিকার যেমন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, গাড়ির সাথে আইফোন বা অ্যাপল ওয়াচের সাথে গাড়ির ঠিক ঐ রকম যোগসূত্রই স্থাপন করতে চায়। এই ফিচার থেকে বার্ষিক ২ বিলিয়ন ডলার আয়ের ব্যাপারে আশা করছে অ্যাপল।
ফল ডিটেকশন ফিচার, অর্থাৎ পড়ে গেলে নিজের থেকেই সংকেত পাঠাবে- এমন ফিচার আছে অ্যাপলের স্মার্ট ওয়াচ সিরিজ ফোরেই। তাছাড়া আরও কিছু ডিভাইসে তারা নিরাপত্তা যোগাযোগের সুবিধাটি রেখেছে। কিন্তু সেগুলো নিয়ে পুরোপুরি তুষ্ট নয় অনেক গ্রাহক। এখন তারা এই ফিচারটিকেই আরও ঘষামাজা করতে চাচ্ছে, যাতে করে দুর্ঘটনা ঘটার পরে নয়, বরং ঐ মুহূর্তেই নিখুঁতভাবে বার্তা বা সংকেত পাঠাতে পারে। সামনের বছর আসতে পারে এই ফিচার-সম্পন্ন আইফোন বা অ্যাপল ওয়াচ।
Leave a reply