ঘরের মাঠের মন্থর উইকেটে খেলার খেসারত কড়ায় গণ্ডায় দিতে হলো বাংলাদেশকে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেও মিরপুরের উইকেটে খেলাটা যে কাজে লাগেনি সেটি এক প্রকার স্বীকার করে নিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ৮৪ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। কোনো ব্যাটসম্যানই করতে পারেননি উল্লেখযোগ্য রান। কাগিসো রাবাদা, এনরিখ নরকিয়ার মতো বোলারের বিপক্ষে টাইগার ব্যাটসম্যানরা শামিল হয়েছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের এই ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য মিরপুরের স্লো উইকেটে খেলাকেই দায়ী করলেন তাসকিন। বলেন, এখানকার উইকেট অনেক স্পোর্টিং। মিরপুরের উইকেট এখানকার মতো হলে আমাদের পারফরমেন্স এমন হতো না। এমন উইকেটে খেললে বোলারদের চ্যালেঞ্জ বাড়ার পাশাপাশি সবারই উন্নতি হবে।
তাসকিন আরো বলেন, জেতার পরিস্থিতে গিয়েও দুটি ম্যাচ হেরে যাওয়ায় পরিস্থিতি আমাদের বিপক্ষে মনে হচ্ছে। সামনে অস্ট্রেলিয়ার সাথে ম্যাচে ভালো করার চেষ্ট করবো। দেশকে একটি জয়ও যদি উপহার দিতে পারি। কেউ ইচ্ছা করে খারাপ করে না। দলের সবাই ১১০ ভাগ দেয়ার চেষ্টা করে।
চলতি বিশ্বকাপে আজকের ম্যাচেই প্রথম সবুজ উইকেটে খেলেছে। শারজা ও দুবাইর উইকেট কিছুটা মন্থর ছিল। আর বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ঘরের মাঠ মিরপুরের পিচ স্লো হওয়ার পাশাপাশি বলও ঘুরেছে প্রচুর। হঠাৎ করে সবুজ উইকেটে খেলতে নেমে তাই আর মানিয়ে নিতে পারেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। রাবাদা-নরকিয়াদের তোপে গুটিয়ে গেছে নিজেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসের তৃতীয় সর্বনিম্ন রানে। দক্ষিণ আফ্রিকাও যা টপকে গেছে ৬ ওভার বাকি থাকতে।
এমন পিচে তাসকিনও আগুন ঝড়ানো বল করেছেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। স্পোর্টিং উইকেটে তিনি যে কতটা ভয়ঙ্কর তা-ই যেন প্রমাণ করলেন এই স্পিডস্টার। টাইগার একাদশে থাকা আরেক তরুণ পেসার শরীফুল ইসলামও দুর্দান্ত বল করেন। তিনি ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৫ রান।
এই তাসকিনই ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে খেলেছেন। গতি বেশি তাই মিরপুরের মন্থর উইকেটে তাকে খেলায়নি টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট।
টাইগার পেসারদের এমন দাপুটে বোলিং। তারপরও ব্যাটিং ব্যর্থতায় তাদের সেই দাপট কোনো কাজে লাগেনি। আর ব্যাটিংয় ব্যর্থতার ব্যবচ্ছেদ করতে গেলেই যে মিরপুরের উইকেটের কথা না এসে উপায় নেই!
Leave a reply