‘স্কুইড গেম’র নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি, ৩.৩৮ মিলিয়ন ডলারসহ লাপাত্তা নির্মাতারা

|

ছবি: সংগৃহীত।

নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় সিরিজ ‘স্কুইড গেমের’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন ‘স্কুইড’ মিম কয়েন সম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে ঝড় তুলেছিল। কিন্তু একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করেছে স্কুইডের নির্মাতারা। ক্রিপ্টোকারেন্সিটির মূল্য প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার শতাংশ উত্থানের পরই সব টাকা তুলে নিয়ে লেনদেন বন্ধ করেছে ডেভেলপাররা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) শূন্যে এসে ঠেকেছে স্কুইডের মূল্য। মূলত, এখানে ‘রাগ পুল’ নামে পরিচিত প্রতারণার একটি বিশেষ ছক ব্যবহার করেছে ডিজিটাল কারেন্সির নির্মাতারা। যেখানে নির্মাতারা জোর করে লেনদেন বন্ধ করে দেয় এবং সমস্ত অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যদি এ ঘটনা আদতেই প্রতারণা হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তা ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ার জন্য বড়সড় ধাক্কা হতে চলেছে। কারণ কীভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় বিনিয়োগের বিষয়টি চলে, তা নিয়ে পুরোপুরি ধারণা ছাড়াই মুনাফার চেষ্টা করা হচ্ছিল এখানে।

এমনিতে কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ডগিকয়েনের মতো বেশ কয়েকটি মিম কয়েন সম্প্রতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। অধিক রিটার্নের আশায় তা বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণও করছে।

কয়েনমার্কেটক্যাপ প্রাইসিং অনুযায়ী, এরকমই একটি ‘মিম কয়েন’ স্কুইড গত সপ্তাহে ২ লাখ ৩০ হাজার শতাংশের বেশি উত্থানের সাক্ষী ছিল। কিন্তু সোমবার নিউ ইয়র্কে তা ১০০ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। প্রযুক্তিভিত্তিক ওয়েবসাইট গিজমোডোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কুইডের ডেভেলপাররা প্রায় ৩.৩৮ মিলিয়ন ডলার উঠিয়ে নিয়ে এখন নিরুদ্দেশ।

উল্লেখ্য, ‘প্লে-টু-আর্ন’ ক্রিপ্টোকারেন্সির অন্তর্গত ছিল স্কুইড। যেখানে মানুষ ডিজিটাল টোকেন কিনে অনলাইন গেমে ব্যবহার করতো। সেই টোকেনগুলো পরে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সাথে পালটানোর সুযোগ ছিল।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply