সন্ত্রাসবাদে সহায়তার অভিযোগে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে এক চিত্রসাংবাদিক ও তার ভাইকে গ্রেফতার করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। ওই চিত্রসাংবাদিকের পরিবারের দাবি, তিনি ও তার ভাই নির্দোষ। তাদের সন্ত্রাসে মদতের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
কাশ্মিরের শ্রীনগরের বাটামালু এলাকার অধিবাসী গ্রেফতারকৃত চিত্রসাংবাদিক মানান গুলজার দার। বিদেশের বেশ কয়েকটি পত্রিকায় তার তোলা ছবি প্রকাশিত হয়েছে। মানানের বাবা গুলজার দারের কথায়, গত ১০ অক্টোবর বাটামালু থানার ওসি মানানকে ডেকে পাঠান। তারপর থেকে তার সাথে পরিবারের আর দেখা বা কথা হয়নি।
এরপর ১৩ অক্টোবর মানানের বাড়িতে অভিযান চালায় এনআইএ। তার ভাগ্নির দাবি, গোয়েন্দারা আপত্তিকর কিছুই পাননি। কিছু সাধারণ নথিপত্র নিয়ে যান। এরপর ১৭ অক্টোবর মানানের ভাই হানান গুলজার দারকে (২৩) ডেকে পাঠায় পুলিশ। তিনি পর্যটন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তারপর থেকে তারও আর খোঁজ পায়নি পরিবার।
১৩ অক্টোবরের তল্লাশি সম্পর্কে এনআইএ জানায়, সন্ত্রাস ও অনলাইনে নাশকতামূলক কাজে যুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছে তারা। কিন্তু মানানের গ্রেফতারি সম্পর্কে এখনও এনআইএ-র তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। কেবল সন্ত্রাসে সহায়তার মামলায় মানানের গ্রেফতারির কথা জানিয়েছে এনআইএ।
তবে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার মানানের গ্রেফতারির কথা স্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য, ওই চিত্রসাংবাদিক জঙ্গিদের হয়ে কাজ করছিলেন। তার বিরুদ্ধে আমাদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
সেই সাংবদিকের পরিবারের দাবি, মানানকে প্রথমে কাশ্মীরের ‘কার্গো’ নামক আটক কেন্দ্রে আটক রাখা হয়। তার পরে তাকে সরানো হয় রাম মুন্সী বাগ থানায়। এর পরে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোর্টে পেশ করা ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদনের প্রতিলিপি দেখে সে কথা জানতে পেরেছেন তারা। গুলজ়ার দারের প্রশ্ন, কীসের ভিত্তিতে মানানকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হল সেটাই জানতে পারলাম না।
Leave a reply