পাওয়ার হিটিংয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চমক দেখিয়েছেন পাকিস্তানের ফিনিশার আসিফ আলি। আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয় এনে দেয়া আসিফ এবার দেশকে উপহার দিতে চান বিশ্বকাপ ট্রফি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ বলে ৪ ছক্কায় ২৫ রানের ইনিংসে দলকে জয় এনে দেন পাকিস্তানি পাওয়ার হিটিং ফিনিশার আসিফ আলি। পরের ম্যাচে ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ছক্কায় করেন ২৭ রান। দুই ম্যাচেই দল জয় পায় ৫ উইকেটে। সবার আগেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে পাকিস্তান। শিরোপা থেকে মাত্র দুই ম্যাচ দূরে থাকা দলকে শিরোপা জেতাতে চান আসিফ আলি।
এই পাওয়ার হিটার বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ১ ওভার হাতে রেখেই ম্যাচ শেষ করবো। আমি তখন খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। পরিকল্পনা করেই ওভাবে অ্যাটাক করি। এমন ব্যাটিংয়ের জন্য অবশ্য বাড়তি কিছুই করি না আমি। দল যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে প্রত্যাশা আছে যেন, এবারের বিশ্বকাপ ট্রফি দেশের মানুষকে উপহার দিতে পারি।
২০ ওয়ানডেতে আসিফ আলির স্ট্রাইক রেট ১২১। আর ৩৩ টি-টোয়েন্টিতে ১৩৩। বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচের ২ টিতে ব্যাট করে ম্যাচ জিতিয়েছেন আসিফ। দুই ম্যাচে তার স্ট্রাইক রেট ২৯১।
পাকিস্তানের ব্যাটিং পরামর্শক ম্যাথু হেইডেন বলেন, ১২ বলে ২৪ রান তাড়া করতে আলাদা সাহসের দরকার। আসিফের মধ্যে এর পুরোটাই আছে। তাই সে ১ ওভার আগেই ম্যাচ শেষ করেছে। ক্রিকেটারদের ব্যাটিংয়ের টেকনিক শেখানো যায় কিন্তু পাওয়ার হিটিং শেখানো যায় না। আসিফ বিশেষ ক্রিকেটার। তার হাতে এবং ব্যাটিং স্ট্যান্সে পাওয়ার থাকায় কাজটা সহজ হয়েছে।
হঠাৎ করে নয়, আসিফ আলিকে ফিনিশার হিসেবে তৈরি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ঘরোয়া ক্রিকেটে আসিফের অনেক বিধ্বংসী ইনিংসের সাক্ষী শাদাব খান। তিনি বলেন, ও ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেকবারই এমন বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছে। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তার সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। আসিফ দারুণ ক্রিকেটার। ফর্মে থাকলে যে কোনো পরিস্থিতি সামলে ম্যাচ শেষ করতে পারে সে।
টি-টোয়েন্টিতে আসিফ আলির মত ১ জন ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার যে কোনো দলের জন্য বড় শক্তি। এই জায়গাটায় অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। বছরের পর বছর নাসির- সাব্বিরদের পেছনে সময় দিলে লাভ হয়নি তাতে।
Leave a reply