শিশুদের করোনার ভ্যাকসিন দেয়া নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। অভিভাবকদের এ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করার পরামর্শ চিকিৎসকদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় শিশুরা কম আক্রান্ত হলেও তারা বাহক হয়ে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই প্রত্যেককেই টিকার আওতায় আনা জরুরি।
একে একে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বড়দের পাশাপাশি ২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকাদান। স্বতস্ফুর্তভাবে টিকা নিচ্ছেন অনেকে। তবে অভিভাবকদের কেউ কেউ বলছেন, বড়রা টিকা নিচ্ছেন, শিশুদের দরকার কী? আবার কারও যুক্তি করোনার প্রকোপ কমেছে তাহলে টিকা কেন জরুরি?
শিশু ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. এম এস খালেদ বলছেন-শিশুদের ওপর করোনার প্রভাব তুলনামূলক কম হলেও নিজের ও পরিবারের সুরক্ষায় ভ্যাকসিন নিতে হবে অবশ্যই। তিনি মনে করেন, যেহেতু শিশুরা খেলাধুলা করে, বা তাদের সচেতনতার ঘাটতি থাকতে পারে, তাই শিশুদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
শিশুদের ভ্যাকসিন দেয়ার পর দেশে বিদেশে কোথাও কোনো ধরনের জটিলতার তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই সবাইকেই ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরামর্শ দিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আবু সাঈদ চৌধুরী। করোনার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অন্যসব ভ্যাকসিনের মতই। তাই এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলেও জানান তিনি।
বলা হয়, প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিকার উত্তম। তাই করোনা নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিনের বিকল্প নেই।
Leave a reply