ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আমলাদের নয়, এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আনিছুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ‘জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: ভবিষ্যৎ প্রভাব’ শিরোনামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটি আয়োজন করে জ্বালানি খাত নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন এফইআরবি। সেখানেই একথা বলেন আনিছুর রহমান।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে জ্বালানি সচিব বলেন, আমলারা এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। ছয় মাস অপেক্ষার পরই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসির) উদ্বৃত্ত আয় সরকার না নিলে আরও ছয় মাস অপেক্ষা করা যেত।
আনিছুর রহমান আরও বলেন, বিপিসির হাতে অর্থ ছিল না। তাই দাম বাড়াতে হয়েছে। অর্থের অভাবে আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে পরিস্থিতি আরও খারপ হতো। সরাবরাহ ঠিক রাখতে হলে চাইলেই দাম কমানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। বিশ্ববাজারে দাম কমানো হলে দেশেও তেলের দাম কমানো হবে। তবে তখন পরিবহন ভাড়া কমবে কি না সে বিষয়ে জ্বালানি বিভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারবে না জ্বালানি বিভাগ।
সেমিনারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্ত বিপিসি শুধু বাস্তবায়ন করেছে।
সেমিনারে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পরিবহনভাড়া বৃদ্ধির কারণে দিনে ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। অর্থাৎ, বছরে ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি এড়াতে জনগণের কাছ থেকে ৭৩ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
Leave a reply