৬ নভেম্বর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিদ্ধান্তটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবির।
গত শনিবার (৬ নভেম্বর) ৫টি ব্যাংকের ১৫১১টি ‘অফিসার (ক্যাশ)’ শূন্য পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবং এ পরীক্ষাটি সম্পাদন করে আহছানউল্লা ইউনির্ভাসিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
কিন্তু পরীক্ষা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ১০০টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর সম্বলিত একটি কাগজ ফেসবুকে আপলোড হয়ে যায়। এতো কম সময়ে প্রশ্নপত্রের সমাধান সম্ভব নয়, জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ করেন চাকরি প্রত্যাশীরা। এরপর অভিযান চালিয়ে জালিয়াতি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি। উদ্ধার হয় নগদ অর্থ, ল্যাপটপ, মোবাইলসহ প্রশ্নপত্র জালিয়াতি করার বিভিন্ন সরঞ্জাম।
প্রায় ২শ জনের এই চক্রটি এর আগেও ৩টি ব্যাংক-পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করেছে। এজন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নৈর্ব্যত্তিক ও লিখিত পরীক্ষার আগে ৪০ শতাংশ টাকা নিতো তাকা। বাকি টাকা আদায় করতো চাকরি নিশ্চিতের পর। এরই মধ্যে চক্রের মূল হোতা মো. মুক্তারুজ্জাসান রয়েলকে বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান। আছেন ৩ ব্যাংক কর্মকর্তাও।
ডিবি’র অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার আরও বলেন, চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রায় ৫ থেকে ১৫ লাখ টাকার লেনদেন করতো এ চক্র। বিভিন্ন বুথে আমরা ২০০ জনের একটি তালিকা পেয়েছি। ব্যাংক কর্মকর্তারা মিলে একটি সিন্ডিকেট করেছে। যেহেতু মামলা হয়েছে, যারা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে যে এর আগে আরও ৪ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতি করেছে।
এর আগে, ২০১৭ সালের ১৯ মে অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগের বাছাইপর্বের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। পরে ওই পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
Leave a reply