নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ঢাকা-চট্টগ্রাম, সিলেট-ঢাকা, ঢাকা-নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ- এই চারটি রুটের ১৪ জোড়া আন্তঃনগর, কমিউটার ও মেইল ট্রেন যাতায়াত ও যাত্রাবিরতি করে যে স্টেশনে, তার নাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রতিদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে অন্তত ২/৩ হাজার যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন।
কিন্তু রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনই এ বছরের ২৭ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল! এর আগে ২৬ মার্চ বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। স্টেশন মাস্টারের কক্ষ, টিকিট কাউন্টার ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ অন্যান্য কক্ষগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সিগন্যালিং সিস্টেম পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা হয়। সব মিলিয়ে স্টেশনটি থেকে সকল ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ অবসানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন দ্রুত সংস্কার করে সব ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি চালুর দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে জেলার নাগরিক সংগঠনগুলো। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মর্যাদা ‘বি’ ক্লাস থেকে ‘ডি’ ক্লাসে নামিয়ে ১৫ জুন থেকে তিনটি মেইল ও একটি কমিউটার এবং ১৬ জুন থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রারিবতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্টেশনের সংস্কারকাজ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সূত্র জানায়, শনিবার সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসবে ১১.১৫ মিনিটে। কমলাপুর রেল স্টেশনে রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে দুপুরে ঢাকা থেকে আগত যাত্রীদের বরণ ও একটি সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আ.লীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরৗ এম.পি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শোয়েব আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
Leave a reply