বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে বর্তমানে অধিকাংশ মানুষেরই মৃত্যু হয় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। দৈনন্দিন জীবনে আপনি যদি বেশি মাত্রায় ভাজাভুজি বা অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খান, তা হলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে এ ছাড়াও হৃদরোগের আরও একটি কারণ উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
মূলত, কোন ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে হৃদ্রোগের আশঙ্কা। পাশাপাশি কী ভাবে খাবার খাচ্ছেন, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার খাওয়ার সময়কার একটি অভ্যাস হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘সায়েস ডেইলি’তে বলা হয়েছে, যারা বেশিরভাগ সময় একা একা খাবার খান তাদের স্বাস্থ্যগত অনেক ঝুঁকি আছে। এ ক্ষেত্রে বয়স্করা বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছেন বলে জানানো হয়েছে, বিশেষ করে নারীরা।
এই গবেষণায় বলা হয়েছে, একা একা খাবার খাওয়া স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। একা খাওয়ার সময়, দ্রুত খাওয়ার প্রবণতা থাকে। এর ফলে প্রায়শই বডি মাস ইনডেক্স, কোমরের পরিধি, রক্তচাপ এবং রক্তের লিপিডের মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। আর এগুলো সবই মেটাবলিক সিন্ড্রোম এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
একা খাওয়া মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে বলে বেরিয়ে এসেছে এই গবেষণায়। বিষণ্নতা ও মানসিক চাপের কারণেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এই গবেষণায় ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ৬০০ জন মেনোপজ নারীকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে একা খাওয়া বয়স্ক নারীদের এবং অন্যদের সাথে খাওয়া নারীদের মধ্যে স্বাস্থ্য এবং পুষ্টিগত পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে।
দেখা গেছে, যারা একা খাবার খান তাদের তুলনায় শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই সুস্থ আছেন পরিবার বা বন্ধুদের সাথে খাবার খাওয়া নারীরা। এছাড়া একা খাবার খাওয়া নারীদের মধ্যে হৃদরোগের উচ্চ ঝুঁকিও আছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের কখনওই একা খাবার খেতে দেয়া উচিত নয়।
Leave a reply