বারবার ঘোষণার পরও কেন বন্ধ হচ্ছে না সিটিং সার্ভিস?

|

গেলো পাঁচ বছরে অন্তত চারবার সিটিং ও গেটলক সার্ভিস বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল বাস মালিক সমিতি। দফায় দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানাও আদায় করে বিআরটিএ। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সরকারের নাকের ডগায় জনগণের পকেট কাটা এই সার্ভিস চলছেই। আবারও এটি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সড়কে তাদের রাজত্ব আগের মতই।

রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে আজিমপুর রুটে চলা বিকাশ পরিবহনে গিয়ে দেখা যায়, কারও কাছ থেকেই সর্বনিম্ন ভাড়া নেয়া হচ্ছে না। তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী ভাড়ায় গেলেই যাত্রী ওঠাচ্ছেন তারা, অন্যথায় বাসেই তুলছেন না। তাই বাধ্য হয়েই বাসে উঠছেন যাত্রীরাও।

শহীদ আনোয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী ফাহমিদা তাসনিমের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া তো নেয়া হয়ইনি বরং সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৫ টাকা বেশি নেয়া হয়েছে।

আবার গেটলক বন্ধের ঘোষণা দিলেও ওয়েবিলের কাগজ দেখাচ্ছেন চালক। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, ওয়েবিল নামক গলাকাটা পদ্ধতি চলতে থাকলে গেটলক সার্ভিস বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে লাভ কী?

সরকার কী ব্যবস্থা নিলো তার দিকে চেয়ে থাকতে চান না যাত্রীরা। ন্যায্য ভাড়াই দেবেন তারা। কখনও কখনও ক্ষুব্ধ যাত্রীদের তোপের মুখে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয় কোনো কোনো কন্ডাক্টর, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাত্রীই হন ভুক্তভোগী।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply