রাস্তায় যা খুশি তাই-এর অনন্য নজির তৈরি করছে রাজধানীর সিএনজি চালিত বাসগুলো। চলছে গ্যাসে, তবে ভাড়া কাটছে ডিজেল চালিত বলে। এমনকি বাসগুলো বদলে ফেলেছে মিটার আর সিলিন্ডারের জায়গাও। অবিকল অয়েল ফিলিং পয়েন্টের মতো করে বাসের বডিতে সিএনজি রিফুয়েলিংয়ের ব্যবস্থা করে ফেলেছে এমন এক বাসও ধরা পড়ে যমুনা নিউজের অনুসন্ধানে।
লিটারে ১৫ টাকা বেড়ে ৩ নভেম্বর থেকে ডিজেলের দাম হয়েছে ৮০ টাকা। সেদিন থেকেই ২৬ ভাগ বাড়তি ডিজেলে চলা বাসের ভাড়াও। রাজধানীর রাস্তায়, ডিপোতে, গলির অবৈধ পার্কিংয়ের বাসগুলো সেজেছে ডিজেল চালিত লেখা লাল-সাদা স্টিকারে। জানালার গ্লাসগুলোতে ঝকঝকে বাড়তি ভাড়ার তালিকা।
বাড়েনি শুধু নামমাত্র খরচে সিএনজিতে চলা বাসগুলোর ভাড়া। মেলেনি নতুন ভাড়ার তালিকাও। তবে রাস্তায় সেগুলোও কাটছে নতুন ভাড়া। যাত্রীরা জিজ্ঞেস করলে বলছে, তেলে চলি।
তেল আর গ্যাসের গাড়ি চেনা যাচ্ছে না আলাদা করে। রাস্তায় গ্যাসে চলা গাড়ি শতকরা ১ ভাগও নেই। বাস মালিকদের এ অজুহাত উড়ে যায় মিরপুরের এক ডিপোতেই।
সেফটি পরিবহনের একটি বাস ধরা পড়লো যমুনা নিউজের ক্যামেরায়। বাসটির রয়েছে তেল রিফিল করার ফিলিং পয়েন্টও। তবে খুললেই দেখা যায় এটা আসলে সিএনজি নেয়ার নোজ্যাল। এমনকি বাসটি থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে গ্যাসের মিটারও। শুধু তাই নয়, মূল জায়গা থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার পর্যন্ত সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
রাতে এক সাড়িতে থাকা মিরপুর লিংকের ৯টি গাড়ির ৪টির নিচে দেখা যায় গ্যাস সিলিন্ডার। একটি গাড়ি স্বীকার করে নিলো সিএনজিতে চলার কথা। মালিকের দাবি, এখনও আগের ভাড়া নিচ্ছে তার সুপারভাইজার। কিন্তু পরদিন ওই বাসটিকে ডিজেল চালিত দাবি করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।
এসবের পাশাপাশি পাওয়া গেছে এমনও বাস, যারা নিষেধের পরও সুযোগমত সিটিং আর গেটলক সার্ভিস চালু রেখেছে। অন্যদিকে বাস মালিকদের আহাজারি, সবই পেলো তেলের গাড়ি। কিছু পেলেন না তারা।
Leave a reply