পয়েন্ট ভাগাভাগি করলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

|

ছবি: সংগৃহীত

আগেই বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করা ব্রাজিলের মুখোমুখি হয় আলবিসেলেস্তেরা। নেইমার না থাকলেও চোটে আক্রান্ত মেসিকে নিয়েই বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করার মিশনে নামে আকাশি-নীলরা। এতে অবশ্য কোনো সুফল পায়নি দলটি। নান্দনিক ফুটবলের জন্য খ্যাত ল্যাটিন আমেরিকার এই দুই দল গোল শূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। নান্দনিক ফুটবলের চেয়ে ম্যাচজুড়ে পেশিশক্তির আধিক্যই ছিল বেশি।

আর্জেন্টিনার ঘরের মাঠ স্যান হুয়ানে শুরু থেকেই এলোমেলো ফুটবল খেলেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। দুর্বল আক্রমণ ও পাল্টা-আক্রমণ রক্ষণভাগের দৃঢ়তা প্রকাশ করলেও আক্রমণভাগের ছন্দহীন খেলা চোখে পড়ার মতো ছিল। তবুও প্রথমার্ধের শেষদিকে এসে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে মেসিরা। এতে আর্জেন্টিনা কিছু জোরালো আক্রমণও করতে সমর্থ হয়। তবে ৪০ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠের খেলোয়াড় ডি পলের দুর্দান্ত শঠ ঠেকিয়ে দেয় ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন।

এরপর ৪৩ মিনিটের মাথায় আবারও আক্রমণে যায় আকাশি-নীলরা। মেসির ফ্রি-কিক থেকে বাড়ানো বলে ওটামেন্ডির দুর্বল হেড আশা জাগিয়েও হতাশ করে ভক্তদের। প্রথমার্ধের শেষদিকে বিতর্কে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখে ব্রাজিলের লুকাস ও আর্জেন্টিনার পারাদেস।

বিরতি থেকে ফিরে এসে জোড়া পরিবর্তন আনেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। লাউতারো মার্টিনেজের বদলে মাঠে নামেন কোরেয়া ও পারাদেসের বদলে মাঠে নামেন লিস্যান্দ্রো মার্টিনেজ। ৫২ মিনিটের মাথায় আক্রমণ করে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন রোমেরো। এর আগে অবশ্য তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। সেই থেকেই ছন্দে ফিরতে শুরু করে ব্রাজিলিয়ানরা।

৫৯ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ব্রাজিলের ভিনিসিয়াস বল নিয়ে আর্জেন্টিনার অংশে ঢুকে পড়লে পেজ্জেল্লা ট্যাকেল করে সামাল দেয় ওই আক্রমণ। তবে হলুদ কার্ড দেখানোর পাশাপাশি বিপজ্জনকস্থানে ফ্রি-কিক পায় সেলে সাওরা। সেই ফ্রি-কিকের সুবাদে ৬১ মিনিটের মাথায় ম্যাচের সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পায় ব্রাজিল। ফ্রি-কিক থেকে ক্রস করা বল ওটামেন্ডি ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বলে ফ্রেডের দুরন্ত শট ঠেকিয়ে দেয় আর্জেন্টিনার গোলবার। এতে গোলের কাছে গিয়েও গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল।

৭১ মিনিটের মাথায় আবারও ব্রাজিলের আক্রমণ ভেস্তে যায় আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের সামনে। এবার পেনাল্টি এরিয়াতে ডানিলোর বাড়িয়ে দেয়া বল পায় ভিনিসিয়াস। বাঁ প্রান্ত থেকে বেশ কয়েকটি টাচের পর শট করলেও ফাঁকি দিতে পারেনি আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজকে। শেষদিকে ৯০ মিনিটের মাথায় মেসির দুর্বল শট অ্যালিসন ফিরিয়ে দিলে দু’দলের পয়েন্ট ভাগাভাগির বিষয়টি একেবারে নিশ্চিত হয়ে যায়। এতে গোল শূন্য ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় আলবিসেলেস্তে ও সেলে সাওদের।

ম্যাচে বলের নিয়ন্ত্রণের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল মেসিরাই। ৫৫ ভাগ বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের। অন্যদিক, দুই দলই সমান ৯টি করে শট নিলেও আর্জেন্টিনার অন-টার্গেটে ছিল ৩টি আর ব্রাজিলের ছিল ২টি। এছাড়া, ৪২ ফাউলের ম্যাচে মোট ৭টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছে রেফারি।

এ ড্রয়ে ১৩ ম্যাচে ১১ জয় নিয়ে ল্যাটিন অঞ্চলের বাছাইপর্বের শীর্ষে অবস্থান করছে ব্রাজিল। আর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে ৬ পয়েন্ট কম নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে আর্জেন্টিনা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply