সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ক্ষেতলালের বাঘাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪০) দীর্ঘদিন থেকে যৌন হয়রানি করে আসছে স্থানীয় মাধ্যমিক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থীকে। গত ৭ নভেম্বর স্কুলের এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সাথে উপস্থিত ছিল অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীও।
অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেলে সে বাড়ি ফিরছিলো। পথে তার সাথে দেখা হয় বড়তারা গ্রামের শাহিনুর রহমানের। শাহিনুর তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তার মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে ভিন্ন পথ দিয়ে ঘুরিয়ে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরের সামনে নামিয়ে দেয়। তখন বিকেল সাড়ে ৫টা। এ সময় রফিকুল এসে ওই শিক্ষার্থীকে কৌশলে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে। তখন ওই শিক্ষার্থীর কান্নার শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে রফিকুল পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত রফিকুলের বাড়ি উপজেলার বাঘাপাড়া এবং শাহিনুরের বাড়ি বড়তারা গ্রামে।
ওই ঘটনায় ৮ নভেম্বর দুপুরে রফিকুল ইসলাম ও শাহিনুর রহমানের নামে ক্ষেতলাল থানায় মামলা হয়। এই ঘটনায় মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং অপমান সইতে না পেরে বৃহ্স্পতিবার বিকেলে তার ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং পরে পোস্টমর্টেমের জন্য আধুনিক জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
ক্ষেতলাল থানার ওসি নীরেন্দ্র নাথ মন্ডল বলেন, পূর্বের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আত্মহত্যার ঘটনা গুরুত্বের সাথে তদন্ত চলছে সেই সাথে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারেরও চেষ্টা চলছে।
Leave a reply