শেষ ভাগের লড়াইয়ে সম্মানজনক সংগ্রহ বাংলাদেশের

|

বাংলাদেশের ইনিংসের সার্বিক চিত্র।

শেষ বলেই যেন আসলো বাংলাদেশের ইনিংসের সেরা শট, সেটাও কিনা তাসকিনের আহমেদের ব্যাটে! হাসান রউফের স্লোয়ারকে স্কয়ার লেগের গ্যালারিতে পাঠিয়ে বাংলাদেশকে ১২৭ রানের পুঁজি দিয়েছেন তাসকিন। তার আগে লড়াই করেছেন মেহেদী হাসান, নুরুল হাসানরা। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পথ দেখিয়েছেন আফিফ। মূলত লেট মিডল অর্ডারদের লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ১২৮ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ।

আর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই হাসান আলির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১ রান করে আউট হন মোহাম্মদ নাঈম। তারপর সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ ইনিংসে বড় আঘাত হানেন মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। দলে আসা নতুন দুই ব্যাটারও পারলেন না সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে। পূর্বসূরী টপ অর্ডার ব্যাটারদের মতোই পাওয়ার প্লের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তারা। উল্টো সাজঘরে ফিরে দলকে ফেলে দিয়েছেন ব্যাকফুটে। সুবিধা করতে পারছে না মিডল অর্ডারও। মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে মাহমুদউল্লাহ বোল্ড হয়েছেন মাত্র ৬ রান করে। কেবলমাত্র আফিফের ব্যাটেই জমা পড়েছে দলের সামান্য সংগ্রহ।

ইনিংসের একমাত্র আগ্রাসী ব্যাটিং দেখা গেছে যার ব্যাটে, সেই আফিফের বিদায়ে টাইগারদের বড় সংগ্রহের আশা ফিকে হয়ে গেল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টপ ও মিডল অর্ডার ভেঙে যাওয়ার পর আফিফ হোসেনের ব্যাটে ভরসা খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শাদাব খানের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন আফিফ।

আফিফ হোসেনের বিদায়ের পর এবার আউট নুরুল হাসান সোহান ও আমিনুল ইসলাম। অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে ফুল লেংথের ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের হাতে বন্দী হয়েছেন সোহান। এখনও পর্যন্ত দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন তিনি। ২২ বলের এই ইনিংসে ছিল ২টি ওভার বাউন্ডারি।

মেহেদী হাসান অপরাজিত ছিলেন ২০ বলে ৩০ রানে। তাসকিনের ৩ বলে ৮ রানে লড়াইয়ের সামান্য পুঁজি পায় বাংলাদেশ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply