নাটোরে এক মাদরাসার সব ছাত্রীর বিয়ে হওয়ায় দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়নি কেউ

|

সব ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এ বছর এই মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়নি কেউ।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট:

নাটোরের বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসার সব ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় চলতি বছর অনুষ্ঠিতব্য দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়নি কেউ। গত ১৪ নভেম্বর থেকে উপজেলার পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় ঐ মাদ্রাসার সব পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) হাদিস শরীফ বিষয়ের পরীক্ষায়ও তারা অনুপস্থিত ছিল। এ পর্যন্ত দাখিলের দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেন্দ্র সচিব ইব্রাহিম হোসাইন জানান, তার কেন্দ্রের অধীনে ৫টি মাদ্রাসার ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র পেয়ে স্ব-স্ব মাদ্রাসা সুপারদের কাছে সব বিতরণ করা হয়। সবশেষে বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসা সুপারকে ১৫ জন পরীক্ষার্থীর সবার প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মানবিক গ্রুপের আল কোরআন এবং হাদিস শরীফ এই দু’টি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসা থেকে কেউ অংশগ্রহণ করেনি।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীবিহীন শূন্য করিডোর।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করা শর্তে কথা হয় এক অভিভাবক ও একজন শিক্ষার্থীর সাথে। অভিভাবক জানান, করোনা বেড়ে যাওয়ায় মাদ্রাসা বন্ধ ছিল, লেখাপড়াও হচ্ছিলো না। তাই মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও তাকে পরীক্ষা দেয়ালোনা।

নাম না প্রকাশের শর্তে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী জানায়, বিয়ের পর ঘর-সংসার সামলাতে হচ্ছে, আর বাড়িতে পড়ালেখার পরিবেশও নেই। তাই আর পরীক্ষায় অংশ নেয়া সম্ভব হয়নি।

বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রউফ জানান, চলতি বছর তার মাদ্রাসা থেকে ১৫ জন ছাত্রীর পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারিতে সব ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় কেউই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। তিনি জানান যে, প্রবেশপত্র পেয়ে এসব পরীক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু কেউ তাতে সাড়া দেয়নি। বিয়ে হয়ে যাওয়া পরীক্ষার্থীদের নাম ঠিকানা চাইলে তা দিতেও অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply