ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ৪টিতে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় প্রচারণায় বিপদে সমর্থকরা। তবে ভোটাররা বলছেন সরকারি দলের গলার কাটা হয়ে লেগে আছে বিদ্রোহী প্রার্থীরা। আর মামলা হামলার আতংক নিয়েই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন জামায়াত ইসলামের প্রার্থীরা।
এদিকে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে সংঘর্ষ ততই বাড়ছে। সংঘর্ষে অথবা প্রচারে বাধা প্রদানের অভিযোগ এলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ ইসির।
চলতি মাসের ২৮ তারিখে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৩য় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। অধিকাংশ ইউনিয়নেই রয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী। এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ভোটাররা রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দে। বিদ্রোহী প্রার্থীরা বলছেন, উপজেলা ও জেলার নেতারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন বেচা কেনা করেছেন। তাই বিগত দিনে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকার কারণে, সে দিক বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত দল তাদের পুনঃমূল্যায়ন করবেন।
এদিকে প্রকাশ্যে না হলেও নিরবেই ভোট যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াত ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই লেগে আছে হামলা ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা। ভুক্তভোগীরা ও সাধারণ ভোটাররা। ভোটাররা বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাক্তি দেখেই ভোটাররা ভোট দেবে। দলীয় প্রতীকের কোনো প্রভাব ফেলবে না ভোটারদের মাঝে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি হামলা ভাংচুর করেই যাচ্ছে বলে জানালেন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না তবে হামলা ভাংচুর করে আতংক ছড়াচ্ছেন তারা বলে জানালেন আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী।
নির্বাচনের আগে যে কোনো অভিযোগ আসলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন এবারের নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ।
Leave a reply