সাত বছর পর টেস্ট দলে ডাক পেয়েছিলেন টিম পেইন। ২০১৭ সালে ব্রিসবেনে অ্যাশেজ টেস্ট শুরু। সকালে উঠে তাসমানিয়া ক্রিকেটের এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে মুঠোফোনে বেশ কিছু মেসেজ চালাচালি, হঠাৎই সেই নারী কর্মীকে নিজের অশ্লীল ছবি ও যৌন উত্তেজক বার্তা পাঠিয়ে দেন পেইন।
বিষয়টি নিয়ে টু শব্দও আর শোনা যায়নি। সাত মাস পর ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে তাসমানিয়া ক্রিকেট ওই নারীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলে। তারপরই পেইনের ওই আপত্তিকর মেসেজের বিষয়ে রিপোর্ট করেন তিনি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও তাসমানিয়া ক্রিকেট নেমে পড়ে তদন্তে। কিন্তু কারও কাছেই তখন মনে হয়নি যে পেইন আচরণবিধি ভেঙেছেন! পেইনকে তারা কোনো ধরনের শাস্তি না দিয়েই ছেড়ে দেয়।
সম্প্রতি সেই ঘটনা আবার সামনে নিয়ে আসে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউজ কর্প। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন ছাপানোর পর একপর্যায়ে পেইন অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। সম্প্রতি হোবার্টে এক সংবাদ সম্মেলনে সেই অভিযোগের কথা স্বীকার করে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই অসি তারকা। স্ত্রীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমাও প্রার্থনা করেন।
বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে হইচই চলছে। পেইনের দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকেই। শুধু নেতৃত্বই হারাননি; তীব্র সমালোচনাও হজম করতে হচ্ছে তাকে। তবে ক্যারিয়ারের এমন দুঃসময়ে সহধর্মিণী বনিকে পাশে পেয়েছেন টিম পেইন। অ্যাশেজ সিরিজের আগে পুরোনো ঘটনা সামনে আসার কোনো মানে খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি।
পেইনের স্ত্রী এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, আমরা দুজনে ২০১৮ সালে বিষয়টি সামলে নিয়েছি। ওই ঘটনা আসলে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে সাহায্য করেছে। টিমের জন্য আমার অনেক খারাপ লাগছে। সত্যি বলতে, তার নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়টি আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া দলে পেইনের সতীর্থরাও তাঁর পাশেই আছেন। সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে পুরোনো ঘটনা আবার সামনে আসার পর থেকেই নানাভাবে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়েরা পেইনকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন। টিম পেইনের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছে ক্রিকেট অসস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সামনেই অ্যাসেজ। তার আগে কার কাঁধে গুরুদায়িত্ব দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড, এখন সেটাই দেখার।
Leave a reply