আত্নহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা! রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা চাকমার মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করা যায়নি ২৪ দিনেও। শারীরিক নির্যাতন করে পূর্ণিমাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে প্রতিদিনই মানববন্ধন এবং সংবাদ সম্মেলন করছেন স্বজন এবং সহপাঠীরা। পুলিশ বলছে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই বেরিয়ে আসবে মৃত্যুর আসল ঘটনা।
উচ্চশিক্ষার স্বপ্নে সীমান্তবর্তী দুমদুম্যা এলাকা থেকে এসে পূর্ণিমা চাকমা ভর্তি হয়েছিলেন রাঙামাটি সদরের সরকারি মহিলা কলেজে। তার রহস্যজনক মৃত্যুতে, থেমে গেলো সেই স্বপ্ন। গেলো ২৮ অক্টোবর রাঙামাটির ভাড়া বাসা থেকে পূর্ণিমার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির মালিক মল্লিকা দেওয়ান। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যার কথা বলা হলেও পূর্ণিমার সহপাঠীদের দাবি এটি হত্যা। বাড়ির মালিক টাকা দিয়ে বিষয়টি দফারফার চেষ্টা করায় পূর্ণিমার স্বজন ও সহপাঠীদের সন্দেহ বেড়েছে আরও। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন তারা।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম জানালেন, রহস্য উদঘাটনে প্রযুক্তির ব্যবহারসহ সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে বাড়ির মালিক মালিক মল্লিকা দেওয়ানসহ ৩ জনকে আসামি করে রাঙামাটি আদালতে মামলা করেছে পূর্ণিমার স্বজনরা।
Leave a reply