যে কোনো ফরম্যাটে বাংলাদেশের দল নির্বাচন প্রক্রিয়া রহস্যে ঘেরা। ঢাকা টেস্টের জন্য ঘোষিত ২০ জনের বহরে আছেন দেড় বছর আগে সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা নাঈম শেখ। আবার টি-টোয়েন্টিতে আগের রাতে পারভেজ হোসাইন ইমন-কামরুল ইসলাম রাব্বিকে দলে ডেকে বিদায় করা হয়েছিল ম্যাচ না খেলিয়েই।
ঢাকা টেস্টের জন্য দলে যে সংযোজন, সেখানে সাকিব আল হাসান অটোমেটিক চয়েজ। কিন্তু নাঈম শেখকে দলে নেয়ার যৌক্তিকতা কোথায়? আদৌ কি তিনি আছেন টেস্ট পরিকল্পনায়? সর্বশেষ দেড়বছর আগে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলা নাঈম প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৬ ম্যাচে ১৬.৬৩ গড়ে রান করেছেন ১৮৩। পরিসংখ্যান বাদ দিলেও টেস্ট ক্রিকেটে একজন ওপেনারের পূর্বশর্ত টেকনিক। যে টেকনিকে টি-টোয়েন্টিতেই বড় নড়বড়ে নাঈম।
আরও পড়ুন: যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে স্বেচ্ছামৃত্যু চান সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক
অথচ সদ্য শেষ হওয়া এনসিএলে ফজলে মাহমুদ, আব্দুল মজিদ, তানজিদ তামিম কিংবা রনি তালুকদারের মতো টপ-অর্ডার ব্যাটাররা লিগে ৩০০’র উপর রান করেছেন। দলে যদি কোনো টপ-অর্ডার রাখতে হয় তাহলে তাদের অধিকারটাই তো বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু বরাবরই কোনো এক অদৃশ্য কারণে ফজলে মাহমুদ বা রনি তালুকদারদের মত অভিজ্ঞদের ব্যাপারে উদার নন নির্বাচকরা।
শুধু টেস্ট নয়, পরিকল্পনার অভাব দেখা যায় টি-টোয়েন্টির টিম সিলেকশনেও। এই পাকিস্তান সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টির দলে আগের রাতে ডেকে পাঠানো পারভেজ ইমন-কামরুল রাব্বিকে ম্যাচ না খেলিয়েই বাড়ি পাঠানো হয়েছে। খেলানোর পরিকল্পনা না থাকলে আগের রাতে শেষ মুহুর্তে তারা ঢুকলেনই বা কেন?
Leave a reply