স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা জানানো সাধারণ মানুষের কণ্ঠে ছিল- সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়। তারা বলছেন, বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেক। তবে স্বপ্ন পূরণে পেরোতে হবে আরও অনেকটা পথ। বাধা-বিপত্তি যতই থাকুক, আগামী দিনগুলো আরও সুন্দর হোক, সেই স্বপ্ন সাধারণ মানুষের।
মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে জাতি। সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠা সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতিসহ সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানকিতা শেষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢল নামে সাধারণ মানুষের।
পূব আকাশের নতুন সূর্যই জানান দেয় এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশের। মহান স্বাধীনতা অর্জনে যে ত্রিশ লাখ মানুষ অকাতরে জীবন দিয়ে গেছেন তাদের স্মৃতি হিসেবে ঠাঁই দাঁড়িয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দেয়া হয় গার্ড অব অনার। সশস্ত্র সালাম জানায় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী।
পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শহীদদের প্রতি সম্মান জানান, প্রধান বিচারপতি ও মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা। শ্রদ্ধা জানানো হয় সংসদের বিরোধী দল এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে।
এসময় পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ৪৭ বছরের অন্যতম অর্জন উন্নয়নশীল বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সব বয়সী-সব শ্রেণি পেশার মানুষ ফুল দিয়ে স্মরণ করেন বীর শহীদদের। সবাই প্রত্যাশা শান্তিপূর্ণভাবেই সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে লাল-সবুজের পতাকা।
Leave a reply