টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে ৫ ম্যাচের ৫টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ধবলধোলাই হয়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুই ফরম্যাটেই। হার নিয়ে ভক্তদের কাঠগড়ায় খোলোয়াড়, কোচ ও বিসিবি সভাপতি। তবে ক্ষোভ আর বিতর্ক সবচেয়ে বেশি প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুকে ঘিরে। যদিও সেই নান্নু বলছেন ভুল সমালোচনার শিকার তারা। অনেকে জানেন না তাদের কাজের এখতিয়ার।
লম্বা সময় পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন বিসিবির নান্নু। সাম্প্রতিক সময়ে দলের বাজে পারফরম্যান্সে কঠিন সমালোচনার মুখে পড়া প্রধান নির্বাচক পরিস্কার করেছেন নিজের অবস্থান।
নান্নু বলেন, একাদশ নির্বাচন নিয়েও অনেকে আমাদের দায় দেন। কয়েকদিন আগে একটি মিডিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট ম্যাচের দল ঘোষণায়ও আমার ও হাবিবুল বাশার সুমনের ছবি দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে। তারা জানেই না অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এখতিয়ার আমাদের হাতে নেই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পরিপক্কতার অভাব আছে: সালাউদ্দিন
গত চার বছর ধরে বিসিবির প্রধান নির্বাচকের চেয়ারের দায়িত্বে আছেন মিনহাজুল আবেদীন। ব্যর্থতার পাশাপাশি আছে সাদাবলের ক্রিকেটে বেশ কিছু সাফল্য। কিন্তু পাইপ লাইনের অবস্থা কী? মাশরাফী নেই, টেস্ট থেকে বিদায় নিয়েছে রিয়াদ। লাল বলের ক্রিকেটে অনিহা সাকিবের, লম্বা ইনজুরিতে তামিম। মূল কথা পঞ্চপান্ডবের বিকল্প কোথায়?
নান্নু জানান, যখন কোনো প্লেয়ার অবসর নেয় বা ইনজুরিতে যায় তখন তার জায়গায় অন্য একজনকে আনার সময় ঐভাবেই চিন্তা করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে আমাদের এ দল ও এইচপি দল কিছু সিরিজ খেলতে পারেনি। ওইসব ম্যাচ খেলতে পারলে আমরা মনে হয় আরও ভালো একটা দল নির্বাচন করতাম।
৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে বিসিবির বর্তমান নির্বাচক কমিটির মেয়াদ। এই কমিটি বিদায় নেবে নাকি মেয়াদ বাড়বে সেটা জানুয়ারিতে জানা যাবে।
Leave a reply