এখনও পর্যন্ত ততোটা প্রাণঘাতী হয়ে না উঠলেও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণের গতি ছাড়িয়ে গেছে ডেল্টাকেও। এই অবস্থায় শুধু আক্রান্তদের আইসোলেশন নয়, ওমিক্রন মোকাবেলায় ফ্লাইট সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিহ্নিত করারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, হাসপাতাল প্রস্তুত করার পাশাপাশি বাড়াতে হবে করোনা পরীক্ষার হার।
শুরু থেকেই নির্ধারিত কোভিড হাসপাতাল হিসেবে সেবা দিয়ে আসছে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। সোমবারের তথ্যচিত্র বলছে, সাধারণ বেডের বেশিরভাগই ফাঁকা। তবে আইসিইউর সব বেডেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন করোনা আক্রান্তরা। সহকারী পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হুদা খান বললেন, নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও তারা আগের মতোই তৎপর।
ভাইরাসের নতুন ধরন মানেই বেশি শক্তি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্রুত রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে ওমিক্রন। হেলাফেলায় ছড়িয়ে পড়লে আনুপাতিক হারে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশংকা বেশি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বললেন, সংক্রমণের হার বেড়ে গেলে নতুন সমস্যা তৈরি করতে পারে।
পয়লা ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ে থেকে ওমান হয়ে দেশে ফেরেন ওমিক্রন আক্রান্ত দুই নারী ক্রিকেটার। ভাইরাসের এই নতুন ধরন ঠেকাতে ফ্লাইটের অন্য যাত্রীদেরও পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দিলেন বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন : দেশে করোনায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত
পাশপাশি করোনা পরীক্ষা ও জিনোম সিকোয়েন্সের সংখ্যা বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
/এডব্লিউ
Leave a reply