৪৬ বছর আগে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলা

|

পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের সরকার দলীয় সাংসদ ও বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চিপ হুইপ আ স ম ফিরোজ।

স্টাফ রিপোর্টার, পটুয়াখালী:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর প্রতিবাদ মিছিলে হামলা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে আনন্দ মিছিল করার অভিযোগে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের সরকার দলীয় সাংসদ ও বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চিপ হুইপ আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বিকালে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল দ্বিতীয় আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাউফল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সিআর মামলা নম্বর ৫২০/২১। আদালতের বিচারক মামলার বিষয়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
ওই মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৯৭৫ সালে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও ১৯৭৫ সালে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আলতাফ হোসেন ভুলু, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজীসহ ১০ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীকে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর বরিশাল সদরে তৎকালীন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আলতাফ হোসেন ভুলুর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সকাল আটটার দিকে পেশকার বাড়ির সামনে পৌঁছালে আ স ম ফিরোজের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। পরে হামলাকারীরা অশ্বিনী কুমার টাউন হলের উত্তর পাশে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ভাঙচুর করে আর উল্লাস করে এবং ফিরোজের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে জুতার মালা পরিয়ে শহরে আনন্দ মিছিল বের করা হয়।

এ বিষয়ে সাংসদ আ স ম ফিরোজের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা দুষ্টু লোকের দুষ্টামি। এ বিষয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply