মৌলি ইসলাম:
বিপুল উৎপাদন ও রফতানির মাধ্যমে করোনা মহামারির প্রভাব থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে চীনের চা শিল্প। দেশটির চা বাজারজাতকরণ সংঘ- CTMA’র তথ্য অনুসারে, গেলো বারের তুলনায় উৎপাদন হয়েছে বেশি। এ শিল্পে আয় হয়েছে চার হাজার ৭০০ কোটি ডলার। যার পেছনে বড় ভূমিকা ই-কমার্সের।
বিশ্বের মোট উৎপাদিত চায়ের ৩৫ শতাংশই সরবরাহ করে চীন। এরপরই ভারত-কেনিয়া-শ্রীলঙ্কা ও তুরস্কের অবস্থান। মহামারির ধাক্কায় এই শিল্প কিছুটা মুখ থুবড়ে পড়লেও চলতি বছর ক্রেতাদের বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে বেইজিং।
দেশটির চা বাজারজাতকরণ সংঘ- CTMA বলছে, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে অর্থকরী ফসলটির উৎপাদনকারী ১৯ প্রদেশ এবং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।
চীনের চা বাজারজাতকরণ সংঘের পরিচালক ওয়াং কিং বলেন, বসন্তকালে মানসম্পন্ন-শুকনো-আধাআধি প্যাকেটজাত চায়ের ১৪ লাখ টন পর্যন্ত চাহিদা থাকে। যা গ্রীষ্ম ও শরতে বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে ১৭ লাখ টনে। প্রত্যাশা- খুব শিগগিরই অভ্যন্তরীণ বিক্রি ২৫ লাখ টনে উন্নীত হবে। ২০২১ সালেই চার হাজার ৭০০ কোটি ডলারের চা বিক্রি করেছে চীন।
মহামারি পরিস্থিতিতে চা বাণিজ্যে বড় ভূমিকা রেখেছে ই-কমার্স। CTMA- এর তথ্য অনুসারে, চলতি বছর চীনে চায়ের মোট অভ্যন্তরীণ বেচাকেনার ১৫ শতাংশই হয়েছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে।
হেফেং কাউন্টি চা কোম্পানির মালিক উ ঝেনইউ বলেন, সম্প্রতি অনলাইনে অর্গানিক ব্ল্যাক এবং গ্রিন টি বিক্রি করছি আমরা। কোম্পানির তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালেই ছয় কোটি ২৬ লাখ ডলারের চা বিক্রি হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। গত দু’দশকে চা শিল্পে কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে চীনে। গতি এসেছে অনেক প্রদেশের অর্থনীতিতে।
দাঝু কাউন্টির নির্বাহী পরিচালক ওয়াং মিংকিং জানান, দাঝু কাউন্টি থেকে ৭০০ টনের বেশি চা উৎপাদিত হয়। যার বিক্রয়মূল্য ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের ওপর। এই শিল্পখাত থেকে ৩২টি গ্রামের ১০ হাজারের বেশি মানুষ লাভবান হচ্ছেন। মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে এক হাজার ৮৭৮ ডলারের মতো। চা বাগানগুলো ঘিরে গড়ে ওঠা পর্যটন শিল্প থেকেও বাড়তি আয় করতে পারছেন স্থানীয়রা।
ইউএইচ/
Leave a reply