দেশে বুস্টার ডোজের পক্ষে নয় পরামর্শক কমিটি

|

এখনই বুস্টার ডোজের পক্ষে মত নেই দেশের ভ্যাকসিন বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির। নাইট্যাগ কমিটি মনে করে সবার আগে বেশিরভাগ মানুষের ২ ডোজ টিকা নিশ্চিত করা জরুরী। না হয় সুবিধা বঞ্চিত ও কম শিক্ষিতরা টিকাদানের আড়ালেই থেকে যাবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এই মাসেই শুরু হচ্ছে বয়স্কদের কোভিড বুস্টার ডোজ। ষাট বছরের বেশি ও ফ্রন্টলাইনে কাজ করেন যারা তাদের দুই ডোজ টিকা সম্পন্ন হয়ে থাকলে তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগের এমন পরিকল্পনায় মত নেই জাতীয় টিকাদান পরামর্শক কমিটি-নাইট্যাগের। এতে কেবল নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মধ্যে টিকাদান সীমাবদ্ধ থাকছে বলে মনে করে নাইট্যাগ। শিক্ষিত শহর ও মফস্বলের জনগোষ্ঠী যার বড় সুবিধাভোগী।

জাতীয় টিকাদান পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রস্তুতি এখনও সীমিত। প্রস্তুতি শেষ হওয়ার আগে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করা সঠিক হবে না।

বিশেষজ্ঞদের মত, প্রত্যন্ত গ্রাম ও সুবিধাবঞ্চিতদের টিকার আওতায় আনা যায়নি এতদিনেও। আগ্রহ তৈরি করা যায়নি বয়স্কদের মাঝে। শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ৮০ ভাগ মানুষকে আগে দুই ডোজ টিকা নিশ্চিতের পরামর্শ নাইট্যাগ সদস্যদের।

জাতীয় টিকাদান পরামর্শক কমিটির সদস্য বে নজির আহমেদ বলেন, অন্য দেশের সাথে তুলনা করে এদেশে সিদ্ধান্ত নিলে হবে না। অন্য দেশ বুস্টার ডোজ দিচ্ছে কারণ তারা ইতোমধ্যে সিংহভাগ জনসংখ্যাকে দুই ডোজ টিকার আওতায় আনতে পেরেছে, যা আমাদের দেশে এখনও হয়নি। দেশের বাস্তবতা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তবে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি মনে করেন, টিকাদান হার তুলনামূলক ভালো। মজুদ ও প্রাপ্তি নিয়েও দুশ্চিন্তা নেই। তাই বুস্টার ডোজের পক্ষে তিনি।

জাতীয় টিকাদান পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লা বলেন, বয়স্কদের টিকা দেয়া হয়েছে প্রায় বছরখানেক হয়ে গিয়েছে। যেহেতু টিকাগুলোর একটা সময় পর ইমিউনিটি কমে যায় সেহেতু বয়স্কদের নিয়ে আবারও ভাবার সময় এসেছে।

দেশে এখন অন্তত ১ ডোজ টিকা পেয়েছেন ৫২ শতাংশ মানুষ, আর দুই ডোজ সম্পন্ন করেছেন তার অর্ধেক। সব মিলিয়ে এখনও টিকার কর্মসূচির বাইরে রয়েছে ৪৮ শতাংশ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply