কীভাবে বুঝবেন আপনার শিশু করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত?

|

ছবি: সংগৃহীত।

করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখন মাথা ব্যাথা বিশ্বজুড়ে। শনাক্ত না হলেও এরই মধ্যে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস, এমনটিই দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে সাত বছর বয়সের এক শিশুর শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

ভারতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের ক্ষেত্রে ওমিক্রনের উপসর্গ নিয়ে কথা বলার সময় এখনও হয়নি। এ নিয়ে এখনও অনেক গবেষণা ও নজরদারির প্রয়োজন আছে। তবে প্রাথমিকভাবে কিছু লক্ষণ চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা। সেগুলোর বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ তাদের।

আরও পড়ুন: এবার পশ্চিমবঙ্গে শনাক্ত ওমিক্রন, আক্রান্ত সাত বছরের বালক

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের জ্বরের সাথে দিনে ৮ বারের বেশি পায়খানা বা ৫-৬ বারের কম প্রস্রাব হলে এবং বমি করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। করোনাভাইরাসের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর চেয়ে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে গা-হাত-পায়ে বেশি ব্যথা হচ্ছে বলে জানান ভারতীয় শিশু চিকিৎসক সুমন পোদ্দার। এছাড়া জ্বর এবং সর্দি থাকতে পারে। শিশুর ক্ষুধা কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট এবং দুর্বল হওয়ার লক্ষণও দেখা দিতে পারে।

এক্ষেত্রে শিশুদের সুরক্ষার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য সব দেশের সরকারকেই শিশুদের ভ্যাকসিনেশনের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। শিশু বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিকা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কতটা লড়াই করতে পারবে তার তথ্য না থাকলেও হাঁপানিসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত শিশুদের কোভিডের টিকা দেয়া থাকলে সংক্রমিত হলেও তার তীব্রতা কম হবে। কোভিড পরবর্তী রোগের থেকেও রেহাই মিলবে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply