ফুল দিতে গিয়ে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ১০

|

ছবি: সংগৃহীত

স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোণা:

বিজয় দিবসে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে নেত্রকোণার কলমাকান্দায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক সাংবাদিকসহ উভয় দলের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত সাংবাদিককে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কৈলাটি ইউনিয়নের সিধলী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিকের নাম রানা আকন্দ (২৮)। তিনি আজকের পত্রিকার কলমাকান্দা উপজেলা প্রতিনিধি ও কান্দাপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান আকন্দের ছেলে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা, পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সিধলী বাজারের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে কৈলাটি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুবেল ভূঁইয়া আহত হন। রুবেল ভূঁইয়া আহত হওয়ার খবর শুনে তার লোকজন সংগঠিত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, আওয়ামী লীগকর্মী বাচ্চু মিয়া, সাইকুল ইসলাম, সুহেল খান, বাহার মিয়া, তুহিন মিয়া, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সাহাব উদ্দিন ও বিএনপির সমর্থক আরিফ মিয়া আহত হন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইসরাত জাহান জানান, রানা আকন্দের পিঠে আঘাতসহ মাথায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে মাথায় দুটি স্থানে ১০টি সেলাই করা হয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সাংবাদিক রানা আকন্দের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে তিনি সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চেয়ারম্যান রুবেল ভূঁইয়া, তার ভাইয়েরাসহ কর্মী-সমর্থকদের রোষানলে পড়েন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মোটরসাইকেলে করে সিধলী সেতু পাড় হতে না হতেই সাংবাদিককে ধর ধর বলে রুবেল ভূঁইয়ার ছোট ভাই সোহেল ভুঁইয়া, কামরুল ভূঁইয়া, শাকিল ভূঁইয়া, ভাতিজা জুয়েল আকন্দসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র রামদা ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রুবেল ভূঁইয়া বলেন, আমার কোনো ভাই-ভাতিজা বা লোকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায়নি। কে বা কারা হামলা করেছে তা আমার জানা নেই। এছাড়া আমরা বিএনপির নেতা-কর্মীরা ফুল দিতে গেলে আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের ওপর ইট-পাটকেল মেরেছে। এতে আমি ও আমার সমর্থক আরিফ মিয়া আহত হয়েছি। আরিফকে নেত্রকোণা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সিধলী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply