বাংলাদেশের বিজয় সুবর্ণজয়ন্তীতে ইন্দিরা গান্ধীর নাম না নেয়ায় রাহুলের ক্ষোভ

|

ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের দিল্লিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশটি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাম উচ্চারণ না করায় বিজেপির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনে বিজয় সম্মান সমাবেশ এ কংগ্রেস নেতা রাহুল বললেন, ইন্দিরা গান্ধী দেশের জন্য ৩২টি গুলি শরীরে নিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন অথচ বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর সরকারি অনুষ্ঠানে তার নাম পর্যন্ত উচ্চারিত হলো না।

রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী একই অভিযোগ করে বলেন, দেশের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাম দেশের নারীবিদ্বেষী সরকার উচ্চারণ করল না। সেটাও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে। অথচ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পেছনে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য।

প্রিয়াঙ্কা তার টুইটের সাথে সাদা–কালো চারটি ছবিও পোস্ট করেন। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে ফুল হাতে আহত সেনাকে দেখতে গেছেন ইন্দিরা। অপর একটিতে বীর সেনানীদের সাথে করমর্দন করছেন। আরেকটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সহাস্যে ইন্দিরা।

বড় অপারেশন ছাড়াই একজনের কিডনি থেকে ১৫৬টি পাথর বের করলো ডাক্তার!

বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। এ সময় দিল্লির ন্যাশনাল ওয়্যার মেমোরিয়ালে বিজয় মশাল প্রজ্বলিত হয়। এ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অংশ নেন।

দর্শনার্থীদের জন্য রাখা খাতায় মোদি লেখেন, পুরো জাতির পক্ষে আমি ১৯৭১ সালের বীর যোদ্ধাদের স্যালুট করছি। শৌর্য ও বীর্যের অতুলনীয় গাঁথা যারা রচনা করেছেন সেই বীর যোদ্ধাদের জন্য দেশের নাগরিকরা গর্বিত। যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাদের ত্যাগের জন্য দেশ আজীবন ঋণী থাকবে। শহিদদের বীরত্ব প্রতিটি প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। দেশ তাদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

দেরাদুনের সভায় রাহুল বলেন, মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে পাকিস্তান পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল। সেটা সম্ভব হয়েছিল পুরো দেশ এক ছিল বলে। আজ দেশের শাসক তাদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে দেশকে ভাগ করছে। মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়াচ্ছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply