মুন্সিগঞ্জে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেফতার

রাজধানীর রূপনগর থেকে গ্রেফতারের পর শনিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয় গ্রেফতারকৃত আবুল কাশেম মাহমুদউল্লাহকে।

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাসহ মোট ১০ টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসএভিপি) মো. আবুল কাশেম মাহমুদুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর রূপনগর থেকে গ্রেফতারের পর শনিবার দুপুরে তাকে মুন্সিগঞ্জ জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।

ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আবুল কাশেম মাহমুদউল্লাহ অর্থআত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাসহ মোট ১০ টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে রূপনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি শ্রীনগর উপজেলায়।

জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ২০১৫ সালে ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আবুল কাশেম মাহমুদুল্লাহসহ সাত কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেয়ার অভিযোগে করা এ মামলায় তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আকতারুজ্জামান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর ৬ আসামি  হলেন, ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মো. হারুন, সিনিয়র সহকারী ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মহামুদউল্লাহ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমামুল হক, ব্যাংক কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, তরিকুল আলম ও কামরুল ইসলাম।

রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুটি ধারায় প্রত্যেককে সাত বছর করে মোট ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে এক কোটি ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৮১৮ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ প্রস্তাব ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহম্মেদ তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

/এসএইচ