সহজ হবে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার?

|

মাহফুজ মিশু:

র‍্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান সাত শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার খুব সহজ হবে না বলে মনে করেন সাবেক কূটনীতিক হুমায়ূন কবীর। এ জন্য দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের পাশাপাশি সিনেট ও রাজস্ব বিভাগের সাথে আলোচনা অব্যাহত রাখার পরামর্শ তার। আর যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ইউরোপের সাথে রফতানি বাণিজ্যেও এর প্রভাব পড়তে পারে। যদিও এ আশঙ্কার সাথে একমত নন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন। তিনি মনে করেন, ভূরাজনৈতিক কারণেই বাংলাদেশের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা। তবে এ নিয়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত ১০ ডিসেম্বর এলিট ফোর্স র‍্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান সাত শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও পররাষ্ট্র দফতরের নিষেধাজ্ঞা আসে। পরদিনই রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর ব্যাখ্যা চায় ঢাকা। ১৫ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে ফোন করে সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন তারা।

এরপর ১৬ ডিসেম্বর সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। যাতে বলা হয়, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী ঘটনা কমেছে। ওই রিপোর্টে জঙ্গী ও সন্ত্রাস দমনে র‍্যাবের ব্যাপারে ইতিবাচক তথ্য দেয় তারা। তবে সংকট বহুমাত্রিক হওয়ায় এটি সমাধানে বাড়তি উদ্যোগের প্রয়োজন বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবীর।

আর ওয়াশিংটনের এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে ভূরাজনীতি দেখছেন অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এই শিক্ষক আশা করেন, কূটনৈতিক পরিপক্কতা দিয়েই এটি সামলাবে সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের সাথে কি একমত তার মিত্ররা? হুমায়ূন কবীর মনে করেন, প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাকের ৮০ শতাংশই যায় ইউরোপ ও আমেরিকায়। তাই রফতানি বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়বে কিনা, তা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে।

তবে ব্যাপারটি সমাধানে স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজ করছেন। এ সপ্তাহেই এ নিয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তারা তাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। যদিও বাইডেন প্রশাসন মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের মত মৌলিক ইস্যুতে বৈশ্বিকভাবে আরও সোচ্চার হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী র‍্যাবের ভূমিকা নিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত রয়েছে, আর একারণে র‍্যাবের প্রতি মানুষের আস্থাও বেড়েছে। তাদের তৎপরতায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তার বক্তব্য পড়তে এই লিংকে যান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply